ওয়েলে নেমে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা ছেড়ে রাজ্যাপালের গাড়ি বেরনোর পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। বিজেপিকে তাদের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করার পর মমতা রওনা হন রাজভবনের উদ্দেশে।
রাজ্যপালকে বিক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মমতা। ফিরে এসে তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়। মুখ্যমন্ত্রী দলের বিধায়কদের শান্ত হতে বলেন। এর পরেই বাজেট বক্তৃতার প্রথম এবং শেষ লাইন পড়ে বক্তব্য শেষ করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল বাজেট বক্তৃতা না করেই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তাঁকে বাধা দেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়কেরা। শশী পাঁজা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্যপালের সামনে। পরে মমতার নির্দেশে তাঁরা সরে আসেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে যান। কিছু ক্ষণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু এবং রাজ্যপালকে কথাও বলতে দেখা যায়। এই সময় তৃণমূলের বিধায়করাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শুভেন্দুকে ‘চোর চোরটা শিশিরবাবুর ছেলে’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করে। এমনকি ‘বিজেপি হঠাও দেশ বঁচাও’ স্লোগানও ওঠে।
বিজেপি বিধায়কদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু বিজেপি-র কিছু বিধায়ক তত ক্ষণে মাটিতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাঁদের থামতে বলেন স্পিকারও।
সোমবার অধিবেশনে বিক্ষোভরত বিজেপি বিধায়কদের থামতে অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। তাঁরা কথা না শোনায় রাজ্যপাল বিধানসভা ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের অন্য মন্ত্রীরা তাঁর পথ রোধ করেন। হাতজোড় করে ফিরহাদ হাকিম অনুরোধ করেন রাজ্যপালকে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও রাজ্যপালকে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তৃণমূলের মন্ত্রী এবং বিধায়কেরা রাজ্যপালকে ঘিরে ফেলে আটকে দেন। বিজেপি-র বিক্ষোভের মধ্যেই হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন রাজ্যপালকে। তাঁর কথা শুনে ফের বসে পড়েন রাজ্যপাল।
মমতা বললেন, রাজ্যপালের বক্তৃতা শুরু করার জন্য এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন তাঁরা। শেষে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে হাতজোড় করে অন্তত একটি লাইন পাঠ করার অনুরোধ করেন মমতা।
নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি মর্মাহত। এতে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারত।
বিধানসভার বাইরেই সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বললেন, ‘‘বিজেপি যা করেছে, তা ঠিক নয়। এটি নজিরবিহীন ঘটনা। ওরা ইচ্ছে করে নাটক করল।’’ মমতা বললেন, ‘‘রাজ্যপাল ভাষণ দিতে পারলেন না এটা অভূতপূর্ব। বিজেপি যা করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক।’’
ধনখড়কে বিদায় জানাতে তাঁর গাড়ি পর্যন্ত এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকার।
রাজ্যপালকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকার। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই শেষ হল। প্রথম এবং শেষ লাইন বলে বক্তৃতা শেষ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বিজেপি-র বিক্ষোভের মধ্যেই ভাষণ শুরু করলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিরোধীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ না হওয়ায় বক্তৃতা না দিয়েই বসে পড়েন রাজ্যপাল।
বাজেট ভাষণ পড়ার অপেক্ষা করছিলেন রাজ্যপাল। তখনই বিজেপি-র বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে শুরু করেন, ‘‘ভারত মাতা কী জয়, ছাপ্পা ভোটের সরকার আর নেই দরকার, মানুষ মারা সরকার, আর নেই দরকার।’’
পুরভোটে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজ্যপালের বক্তৃতা শুরুর আগেই বিক্ষোভ শুরু বিজেপি-র।