পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন পার্শ্বশিক্ষকরা। প্রতীকী ছবি
পার্শ্বশিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর অনুমতি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও ২০০৩ সালের পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইনের ৭(বি) ধারা অনুযায়ী কমিশন পঞ্চায়েতে পার্শ্বশিক্ষকদের ভোটে দাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু ২৭ মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেশকিছু পেশার মানুষকে পঞ্চায়েত ভোটে না দাঁড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চায়েতের কর সংগ্রাহক, রেশন ডিলার, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার্স, গ্রাম রোজগার সেবক, গ্রামীণ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ চুক্তিভিত্তিক কর্মী, শিক্ষাবন্ধু, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েতের সহকারি কোষাধ্যক্ষ, সরকারি কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত গ্রুপ-ডি স্তরের কর্মী-সহ আরও বেশকিছু পেশার মানুষ পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।
কিন্তু ৩১ মে আবারও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৩ সালের আইনের উল্লেখ করে শুধুমাত্র পার্শ্বশিক্ষকদের ভোটে দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হল। কমিশন নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি পার্শ্বশিক্ষকদের বড় অংশ। তবে কমিশনের প্রথমে পার্শ্বশিক্ষকদের ভোটে দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা ও পরে ফের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বঙ্গীয় শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকরা মূলত প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তাঁদের বেতন কাঠামো এতই কম যে তার থেকে অনেক বেশি রোজগার করেন দিনমজুররা। তাঁদের কাছ থেকে ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেওয়ার কমিশনের সিদ্ধান্ত কোনওদিক থেকেই সঠিক ছিল না। নতুন করে তাঁদের অনুমতি দেওয়া আমরা খুশি। কিন্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন কাঠামো নিয়ে রাজ্য সরকারের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।