মোদী সরকারের আট বছর পূর্তিতে বিজেপি যখন সাফল্য উদযাপনে নেমেছে, সেই সময়েই ‘বুলডোজ়ার নীতি’র বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামল সিপিএম। সামাজিক মাধ্যমে ‘স্টপ বুলডোজ়িং ইন্ডিয়া’ নাম দিয়ে বিজেপি-আরএসএসের কাজকর্মকে নিশানা করছে তারা। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যেরা এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃত্ব এই প্রচারে শামিল হয়েছেন। নোটবন্দির নামে মোদী কী ভাবে দেশকে বিভ্রান্ত করেছেন, কর্মসংস্থানের হাল কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাস থেকে ওষুধের দাম কোথায় পৌঁছেছে, অর্থনীতির কী অবস্থা এবং এই সব জ্বলন্ত সমস্যা সমাধানের বদলে কী ভাবে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়ানো হচ্ছে— সবই তুলে আনা হচ্ছে সিপিএমের প্রচারে। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটবুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেই সঙ্গে কিছু রাজ্য সরকার (বিজেপি-শাসিত) একই সঙ্গে অভিযোগকারী, বিচারক এবং প্রশাসকের ভূমিকা নিয়ে চলছে। জাত-ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের কিছু অংশকে আলাদা করে নিশানা করা হচ্ছে। বুলডোজ়ার দিয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়ার অধিকার কোন আইনে দেওয়া হয়েছে? আদালতে কেউ নির্দোষ সাব্যস্ত হলে তাঁর গুঁড়িয়ে দেওয়া জিনিসপত্রের ক্ষতিপূরণের দায় কি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নেবে? নাকি আধিকারিকেরা তাঁদের বেতন থেকে ক্ষতি মিটিয়ে দেবেন?’’ একই সঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের উপরে বোঝা যে ভাবে বেড়েছে, তার পরে আর ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ বা ‘সেবা, সুশাসন, গরিব কল্যাণে’র মতো স্লোগান দিয়ে কিংবা আরএসএস-বিজেপির সাম্প্রদায়িক কৌশলে আম জনতাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিজেপির প্রচারের বিপরীতে তাদের এই পাল্টা প্রচার চালিয়ে যাওএয়ার কথা বলেছে সিপিএম।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।