ফাইল ছবি
তৃণমূলের মুখপত্রে অনিল বিশ্বাস-কন্যার উত্তর সম্পাদকীয় লেখাকে ‘খারাপ কাজ’ বলে উল্লেখ করল সিপিএম। বুধবার প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হওয়ার পরেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে। শনিবার শেষ কিস্তি প্রকাশিত হওয়ার পরেই নিজেদের অবস্থান প্রকাশ্যে জানাল সিপিএম। অধ্যাপক ও গবেষকদের নিয়ে গঠিত সিপিএমের কমিটির অজন্তাকে শো-কজ করেছে।
সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘‘আমার বিচারে সাধারণ ভাবে অত্যন্ত অসচেতন, অত্যন্ত খারাপ কাজ হিসেবে প্রতিভাত হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই ঘটনায়। আমি অজন্তাকে পরামর্শ দিয়েছি, তোমার যা অবস্থান তা তুমি লিখিতভাবে পার্টিকে জানাও।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ও বামপন্থী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা তো আর দলীয় কর্মীর কাজ নয়। আমাদের দলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার পরেই তার বিচার করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা হয়। সেই পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যে করেছি।’’
অজন্তার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কল্লোল বলেন, ‘‘আমি অজন্তাকে বলেছি, তুমি আমাদের পার্টি সদস্য। তা হলে তুমি কী ভাবে এটা করলে? ওই সংবাদপত্রটি আমাদের বিরোধী পক্ষের মুখপত্র। ওই সংবাদপত্রে যদি এক জন বামপন্থীর লেখা বার হয়, তা হলে সেটা বামপন্থী মানুষের মধ্যে ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘চার পাঁচ দিন আগে থেকেই বিভিন্ন কমরেডদের মাধ্যমে আমাদের কাছে খবর আসতে শুরু করে। সে দিনই দুপুরবেলা ওর সঙ্গে কথা বলি। প্রাথমিক ভাবে অজন্তা জানিয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর ভূমিকা নিয়ে ওর লেখা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ও এমন লেখা দু’এক জায়গায় আগেও লিখেছে। ওই মুখপত্র থেকেও একটি লেখা নেওয়া হয়েছিল। সেটাই ও দিয়েছে।’’