সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে আসেন মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
ফ্রেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতিস্বরূপ নেতাজি ইন্ডোরে এখন সাজ সাজ রব। এই সাংগঠনিক নির্বাচনে যাতে কোনও ভাবেই কোভিডবিধি লঙ্ঘিত না হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই সাংগঠনিক নির্বাচনে দলের ৮০০ জন ভোটারের পাশাপাশি থাকবেন দলেরই আরও ৭০০ জন নেতা। অর্থাৎ মোট ১৫০০ জনের উপস্থিতি থাকবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। তা ছাড়া পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও উপস্থিতি থাকবে। তাই আগে থেকেই নিজেদের ১৫০০ প্রতিনিধিদের বসার বন্দোবস্তর ক্ষেত্রে মেনে চলা হবে ‘দো গজ কি দূরি’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী পদে মনোনীত করার এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে নেতারা যাতে অতি উৎসাহী হয়ে কোভিডবিধি লঙ্ঘন না করেন, সে দিকেও নজর রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের।
কোভিডবিধির কারণে মঞ্চসজ্জাতেও বদল আনা হয়েছে। মঞ্চের আকার বিরাট হলেও, তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পিছনে দলীয় নেত্রীর যে ছবিটি দিয়ে সাংগঠনিক নির্বাচনে বিশাল হোডিং লাগানো হত, তার কলেবরও ছোট করে দেওয়া হয়েছে এ বার। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১০ হাজার মানুষের সমাগম করা যায়। তাই দলীয় প্রতিনিধিদের বসার ক্ষেত্রে সহজেই সরকারি কোভিডবিধি মেনে চলা যাবে বলে মনে করছে তৃণমূল। মঞ্চের সামনেই আগত ১৫০০ প্রতিনিধিদের জন্য চেয়ারে বসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সেখান একটি চেয়ারের সঙ্গে আরও একটি চেয়ারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে সরকার-নির্দিষ্ট বিধি মেনেই। সঙ্গে প্রতিনিধিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকা এক নেতা।
সোমবার নেতজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুরসভার দুই মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সী ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তাঁরাই মূলত প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কোভিডবিধি মেনে যাবতীয় প্রস্তুতি করার নির্দেশ দেন। তা ছাড়াও সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র।