পুরভোটে প্রার্থী হতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির ও রবীন্দ্রনাথ। ফাইল চিত্র
জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকিরকে এ বার মন্ত্রিসভায় রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নাটাবাড়ি থেকে ভোটে লড়াই করে বিজেপি প্রার্থী মিহির গোস্বামীর কাছে পরাজিত হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তৃণমূলের এখটি সূত্রের দাবি, জাকির ও রবীন্দ্রনাথকে দেখা যেতে পারে পুরভোটের ময়দানে। সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তৃণমূলের সব জেলা কমিটিই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা জমা দিয়েছে।
সূত্রের খবর, জঙ্গিপুর সাংগঠিকন জেলা থেকে জমা-পড়া তালিকায় নাম রয়েছে জাকিরের। আর কোচবিহার থেকে নাম জমা পড়েছে রবীন্দ্রনাথের। তবে নাম জমা পড়লেও তাঁদের প্রার্থী করার বিষয়ে শীর্ষনেতৃত্ব চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি বলেই খবর। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ভোট। সেই ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে তৃণমূলের অন্দরে।
রবীন্দ্রনাথ বিধানসভা ভোট পর্যন্ত নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার ভোটার ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি কোচবিহার পুরসভা এলাকার ভোটার হয়েছেন। তাই কোচবিহার তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, শীর্ষনেতৃত্বের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই তিনি কোচবিহার পুরসভা এলাকার ভোটার হয়েছেন। আর জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির সুতি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। ২০১৬ সালে যখন তিনি প্রথম বার জঙ্গিপুর থেকে ভোটে দাঁড়ান, তখনও তিনি ছিলেন সুতির ভোটার। কিন্তু এ বার বিধানসভা ভোটের আগেই জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে সেখানকার ভোটার হয়েছেন। তাই কোচবিহার ও জঙ্গিপুর পুরসভার ভোটে দাঁড়াতে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই।তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, মন্ত্রী হিসেবে জাকির ও রবীন্দ্রনাথের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। তাই তাঁদের পুরভোটে প্রার্থী করার অনুমতি দিতেই পারে দল।
প্রার্থিপদ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ কোনও মন্তব্য না করতে চাইলেও জাকির বলেছেন, ‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তিনি যা বলবেন সেটাই করব। আমার ব্যক্তিগত কোনও মতামত নেই।’’ প্রসঙ্গত, গত বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে জখম হন জাকির। ২০২১ সালের ভোটে বামপ্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি জঙ্গিপুরে। তাই গত বার মন্ত্রী হলেও এ বার আর তাঁকে মন্ত্রী করা যায়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর মমতার ভবানীপুর কেন্দ্রের সঙ্গেই ভোট হয় জঙ্গিপুরে। সেখানে বিরাট ব্যবধানে জিতে বিধায়ক হন জাকির।