—প্রতীকী ছবি।
সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় মারা গিয়েছিলেন দুই মৎস্যজীবী। কিন্তু সরকারি নিয়ম মেনে তাঁদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি। কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই মৃত মৎস্যজীবীর স্ত্রী সরস্বতী আউলিয়া ও সরোজিনী মণ্ডল। তাঁদের দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, রায় ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরস্বতী এবং সরোজিনীকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আদালতের খবর, সরস্বতীর স্বামী এবং সরোজিনীর স্বামী মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সরস্বতীর স্বামীকে বাঘ টেনে জঙ্গলে নিয়ে যায়। তাঁর দেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরস্বতীর স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে সরোজিনীর স্বামীও বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হন এবং পরে মারা যান। সেই ময়না তদন্তের রিপোর্ট কোর্টে জমা পড়ে।
রাজ্যের আইনজীবী পান্তু দেবরায় ক্ষতিপূরণের বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ওই মৎস্যজীবীরা নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় পড়েছিলেন। তাই ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত নয়। মামলাকারীদের আইনজীবী অভিষেক সিকদার, শান্তনু চক্রবর্তী, অতীন্দ্র চক্রবর্তী এবং সহিলি দে জানান যে, নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে ক্ষতিপূরণ মিলবে না, এমন কথা বলা নেই ২০২১ সালে বন্য জন্তুর হামলায় মৃতদের ক্ষতিপূরণের সরকারি নির্দেশিকায়। বিচারপতিরও পর্যবেক্ষণ, নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশের শাস্তিস্বরূপ বিধবা স্ত্রীদের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করা যায় না।