কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র ।
প্রায় পনেরো বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা। প্যানেলে ঠাঁইও পান। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পরে আচমকাই সেই প্যানেল বাতিল করে দেয় তৃণমূল সরকার।
মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহের সেই চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ওই প্যানেলের যোগ্য প্রার্থীদের বর্তমানে থাকা শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। প্রসঙ্গত, সেই আমলে কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়োগের বদলে জেলাভিত্তিক নিয়োগ হত এবং সেই কাজ করত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বিচারপতি জানিয়েছেন, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কোর্টকে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাওড়া জেলার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তখন অবশ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, আপাতত যে শূন্যপদ আছে সেখানে নিয়োগ হবে। এর পরে যেমন শূন্যপদের অনুমোদন মিলবে তেমন ভাবেই নিয়োগ হবে।
বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী রবিলাল মৈত্র, অম্লান মুখোপাধ্যায় ও রাজীতলাল মৈত্র আদালতে দাবি করেছিলেন, তাঁদের মক্কেলরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অন্যায্য ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা সওয়াল ছিল রাজ্যেরও। রাজীতলালের দাবি, শেষমেশ তাঁদের বক্তব্যই কোর্টে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।