AITC

TMC Bhaban: তৃণমূল ভবন ভাঙা শুরু, প্রতিষ্ঠা দিবসে কর্পোরেট ধাঁচের দফতরের উদ্বোধনই লক্ষ্য শাসকদলের

আপাতত কাজ চলবে তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে। তবে এই সময়ে পুরো কাজ শেষ করা কঠিন। চেষ্টা চলছে, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে নতুন ভবনের একাংশ উদ্বোধন করার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২১ ১৮:১৫
Share:

ভাঙা হচ্ছে তৃণমূল ভবন। নিজস্ব চিত্র।

প্রতিষ্ঠা দিবসেই নতুন ‘কর্পোরেট’ তৃণমূল ভবনের উদ্বোধন হতে পারে। জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে তৃণমূল ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ভবন ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুন তৃণমূল ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে পুরোদমে। ৩৬ জি তপসিয়া রোডের তৃণমূল ভবনের পথ চলা শুরু করেছিল ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে। সেই থেকে ওই দলীয় কার্যালয়ে কোনও সংস্কার হয়নি। কিন্তু তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন কর্পোরেট অফিস গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছেন।

Advertisement

জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে তৃণমূল ভবন ভাঙার কাজ শেষ হবে ।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ঝাঁ চকচকে নতুন এই কর্পোরেট তৃণমূল ভবনে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। শাখা সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্য বরাদ্দ থাকবে বসার ঘর। সেইসঙ্গে থাকবে জেলাকর্মীদের জন্য পৃথক পৃথক বসার ব্যবস্থা। তৈরি হবে বিরাট প্রেস কনফারেন্স রুম ও হল। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হবে নতুন এই কার্যালয়ে। থাকছে ক্যান্টিন, গাড়ি রাখার পার্কিং লটও। কর্পোরেট ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হবে তৃণমূল ভবনের পরিবেশ। নতুন রূপে তৃণমূল ভবন তৈরি করতে অর্থ দিচ্ছেন পার্টির নেতা কর্মীরাই। সাংসদদের থেকে এক লক্ষ করে টাকা নেওয়া হবে। বিধায়কদের থেকেও দলীয় কার্যালয় নির্মাণে অর্থ নেওয়া হবে।

আপাতত নেতৃত্ব চাইছেন, নতুন বছরের প্রথম দিনেই কর্মীদের জন্য নব কলেবরে গড়ে ওঠা সদর দলীয় কার্যালয়ের দরজা খুলে দিতে। কারণ ওইদিন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারিই পথচলা শুরু করেছিল তৃণমূল। তাই আগামী পাঁচ মাস জোরকদমে কাজ চলবে তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব এটাও বুঝেছেন, এত কম সময়ে এই বিরাট কর্মকাণ্ড শেষ করা কঠিন। তাই চেষ্টা হচ্ছে, নতুন তৃণমূল ভবনের একাংশ তৈরি করে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রতীকী উদ্বোধনের। পুরনো ভবনটি ভাঙার কাজ গতি পেলেও, পাশের কনফারেন্স হলটি এখনই ভাঙা হচ্ছে না। এখনও বেশ কিছু সাংগঠনিক কাজ সেই কনফারেন্স হলটি থেকেই করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের রাজ্য স্তরের এক নেতা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক কাজকর্মের জন্য বিকল্প জায়গা পেয়ে গেলেই পুরনো কনফারেন্স হলটিও ভেঙে ফেলা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement