প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের বেশির ভাগ কলেজে স্নাতকের প্রথম বর্ষে অভিন্ন পোর্টালে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হল না এখনও।
গত বছর উদ্যোগ নিয়েও তা শুরু করা যায়নি। উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, চলতি বছরে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হবে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক-সহ অন্যান্য দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে এক মাসেরও বেশি আগে। অথচ সেই পোর্টাল এখনও খোলা হয়নি। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন পড়ুয়া এবং অভিভাবকেরা।
নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের পক্ষে ২০ মে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, “দফতরকে উদ্বেগের কথা জানিয়েও ফল হয়নি। পড়ুয়ারা অন্যত্র ভর্তি হয়ে যাবে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বার আরও আসন ফাঁকা পড়ে থাকবে।”
একই আশঙ্কা চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সভাপতি দেবাশিস সরকারের। তাঁর বক্তব্য, ভর্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এত দেরির বিষয়টি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েও দফতরের জানানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, “ফল প্রকাশের এতদিন পরেও কিছু জানতে না পেরে উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকেরা।” তাঁর বক্তব্য, গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে পড়ুয়ারা ভিন্ রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। আগে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় পড়তে যেতেন। এখন সব বিষয়ের জন্যই যাচ্ছেন। দেবাশিসের আশঙ্কা, এ ভাবে ভর্তির প্রক্রিয়ায় দেরি হলে কলেজগুলিতে অসংখ্য আসন ফাঁকা থাকবে।
এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিড এবং কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশাল পরিমাণে ড্রপ আউট হয়েছিল। যাঁরা পড়াশোনায় আগ্রহী, রাজ্য সরকারের এই ধরনের মনোভাব তাঁদেরও নিরুৎসাহিত করবে।” ইতিমধ্যেই এই ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র
সংগঠন ডিএসও।