—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সিংহভাগ কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তির অভিন্ন পোর্টাল আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই চালু করা যেতে পারে বলে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন। তিনি এ দিন বলেন, “আমার মনে হচ্ছে মঙ্গল-বুধবারের মধ্যে পোর্টাল চালু করতে পারব। আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এ নিয়ে আলোচনা শেষ। সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই উনি (মুখ্যমন্ত্রী) তা দেবেন। তার পরেই পোর্টাল চালু করতে পারব।” সূত্রের খবর, এ দিন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে অনলাইন বৈঠক করেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠে সেখানে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে অধ্যক্ষদের জানানো হয়, ভর্তির বিষয়ে পড়ুয়াদের জানাতে কলেজগুলিতে অন্তত দু’টি করে হেল্প ডেস্ক তৈরি করতে হবে। প্রতিটি হেল্প ডেস্কে ল্যাপটপ, স্ক্যানার ও সঠিক ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। ভর্তি হতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের সাহায্য করতে পারবেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। পড়ুয়ারা চাইলে হেল্প ডেস্কে বসে ভর্তির আবেদন করতে পারেন। তবে অনলাইন ফর্মে তথ্য সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকেই পূরণ করতে হবে। কলেজকে তাদের ব্লকের নিকটতম বিএসকে-র (ব্লক সার্ভিস কিয়স্ক) ফোন নম্বর, নাম ও অবস্থান জেনে রাখতে হবে। যে সব পড়ুয়া কলেজে চলে আসবেন, তাঁরা বিএসকেতে গিয়েও বিনামূল্যে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। তবে পোর্টাল চালুর প্রথম চার-পাঁচ দিন পড়ুয়াদের কোনও রেজিস্ট্রেশন হবে না। তাঁদের ভর্তির আবেদনের বিষয়ে সড়গড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, আবেদনপত্র পূরণের সময় কোনও অপরিবর্তনীয় ভুল হলে আবেদনকারীকে হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার পরে তিনি নতুন আবেদন জমা দিতে পারবেন। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ভর্তি প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও এক সময় কলেজের হাতেই অনলাইনে বাকি ভর্তির দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির বিষয় নিয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য কলেজ চত্বরে ব্যানার, স্ট্যান্ডি লাগাতে হবে। এগুলির ‘সফট কপি’ কলেজগুলিকে দেবে শিক্ষা দফতর।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দুর্নীতি আটকাতে কয়েক বছর আগে সম্পূর্ণ অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতি চালু হয়েছিল। তাতে ভর্তির ক্ষেত্রে বহিরাগত বা ছাত্র সংগঠনের প্রভাব থাকত না। সূত্রের খবর, বৈঠকে কয়েক জন অধ্যক্ষ জানান, হেল্প ডেস্ক করলেই বহিরাগতেরা সহজে কলেজে ঢুকবে। প্রথমে অভিন্ন পোর্টালে কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি শুরু হলেও পরে কলেজের হাতে তা দিলে দুর্নীতির অভিযোগ ফের উঠতে পারে বলেও তাঁদের একাংশের মত। বৈঠকে অনেকেই জানান, মেজর বিষয়গুলিতে কত সংখ্যক আসনে ভর্তি হবে তা স্থির থাকলেও মাইনর বিষয়গুলির ক্ষেত্রে তা বেঁধে রাখা হচ্ছে না। তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।