সুবোধ সিংহ। —ফাইল চিত্র
বিহারের দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহকে জেলে বন্দি রেখেই বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে সিআইডি। বিচারপর্ব যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেই চেষ্টাও তদন্তকারীরা করছেন বলে প্রশাসনের খবর। পুলিশ সূত্রের খবর, পুজোর আগে সুবোধের বিরুদ্ধে আসানসোল আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে খুনের চেষ্টা, ডাকাতি, মারধর এবং অস্ত্র আইনের ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে সুবোধকে। এর আগে ওই একই ঘটনায় সুবোধ-ঘনিষ্ঠ চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি। বর্তমানে সুবোধ-সহ বাকি অভিযুক্তেরা জেল হেফাজতে আছে। এক পুলিশকর্তা জানান, আগামী শুক্রবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে। তবে সুবোধের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে সিআইডির শীর্ষকর্তারা সরকারি ভাবে কিছুই বলতে চাননি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রানিগঞ্জ থানা এলাকায় একটি গয়নার দোকানের মালিকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ডাকাতেরা। ডাকাতি ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় ডাকাতদের। পরে ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ডাকাতির তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, বিহারের জেলে বন্দি দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহ ডাকাতির মূল চক্রী। জেলে বসেই ডাকাতির ‘নেটওয়ার্ক’ নিয়ন্ত্রণ করে সে। ডাকাতদলের সাত জনকে অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল সুবোধের নির্দেশে।
সিআইডি জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই বিহারের জেলে বন্দি ছিল সুবোধ। গত জুন মাসের শেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সিআইডির বিশেষ দল বিহার থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সুবোধকে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, রানিগঞ্জের ওই ডাকাতির চেষ্টা ছাড়াও হীরাপুরে সিআইডির অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত সুবোধ। এ ছাড়া ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা, তোলাবাজির মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে সিআইডির একাংশের দাবি, রানিগঞ্জের ওই মামলায় সুবোধের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তাই তার ছাড়া পাওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে সুবোধ এবং তার শাগরেদদের জেলে রেখেই বিচারের নির্দেশ পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।