জাতীয় গ্রন্থাগারে ভোটার দিবস পালন অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
দেশের মধ্যে ভোটদানের হারে প্রথম স্থানে দখল করল পশ্চিমবঙ্গ। অন্য রাজ্যের তুলনায় এই রাজ্যে ভোটদানের হার অনেক বেশি। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার থেকে নতুন ভোটার কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু করল কমিশন। এখন বাড়ি বসেই ভোটাররা নতুন রঙিন ভোটার কার্ড ডাকের মাধ্যমে হাতে পেয়ে যাবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগারে ভোটার দিবস পালন করেন এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনের আধিকারিক। ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, ‘‘দেশে প্রথম ভোটের সময় এ রাজ্যে ভোট দানের হার ছিল প্রায় ৪২ শতাংশ। গত ভোটে তা বেড়ে হয়েছে ৮২ শতাংশ। জনগণকে সচেতন করার ফলে ৫০ বছর পরে রাজ্যে ভোটদানের দ্বিগুণ হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অনেক বড় রাজ্যের থেকে এ রাজ্যে ভোটদানের হার অনেক বেশি। উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতের থেকেও এখানে বেশি ভোট পড়ে।’’
২০১১ সাল থেকে সারা দেশে প্রতি বছর জাতীয় ভোটার দিবস পালন করে আসছে কমিশন। আগেই তারা নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল। এ বার মঙ্গলবার থেকে নতুন ভোটার কার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হল। কমিশন জানায়, নতুন কার্ড ডাকের মাধ্যমে ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে। আগে নতুন কার্ড সংগ্রহ করতে হত বিএলও (বুথ লেবেল অফিসার)-র কাছ থেকে। এ বার সেই পদ্ধতি বদল হল। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, বিএলও-র মাধ্যমে কার্ড পেতে অনেকের সমস্যা হয়। তাই এ বার থেকে আমরা স্পিড পোস্টের মাধ্যমে কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এ বছর থেকে সারা ভারতেই এই নিয়ম চালু হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ডাকের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব প্রথম দেয় এ রাজ্যের অধিকারিকরাই। তাঁদের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সারা দেশে এ পদ্ধতি চালু করার কথা জানায়।
এ বার নতুন ভোটারদের উৎসাহ দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। আগে বিএলও-র মাধ্যমে কার্ড যেত নতুন ভোটারদের কাছে। নতুন নিয়মে এপিক কার্ডের সঙ্গে নতুন ভোটারদের দেওয়া হবে শপথবাক্য এবং সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের শুভেচ্ছা পত্র।