প্রশিক্ষণে ভর্তি হলেই খুলে যাবে টেট-দরজা

শিক্ষামন্ত্রী জানাচ্ছেন, যে-সব প্রার্থী ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, প্রশিক্ষণ-পরীক্ষার ফল হাতে পেয়ে গিয়েছেন, তাঁরা তো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেটে আবেদন করতে পারবেনই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

শুধু প্রশিক্ষিত নয়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরাও এ বার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন বলে বুধবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রশিক্ষণরত মানে প্রশিক্ষণ শেষ করে পরীক্ষা দিয়ে ফলের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা তো বটেই, প্রশিক্ষণ-পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়া পড়ুয়ারাও সুযোগ পাবেন।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী জানাচ্ছেন, যে-সব প্রার্থী ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, প্রশিক্ষণ-পরীক্ষার ফল হাতে পেয়ে গিয়েছেন, তাঁরা তো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেটে আবেদন করতে পারবেনই। যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদেরও ওই পরীক্ষায় বসতে বাধা নেই। তবে ওঁদের সকলে টিচার্স এবিলিটি টেস্টে বসার সুযোগ পেলেও নিয়োগের কাজটা হবে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন বা এনসিটিই-র বেঁধে দেওয়া নিয়মবিধি অনুসারেই।

টেটে প্রশিক্ষণহীনদের ঠাঁই দেওয়ার জন্য টানাপড়েন চলেছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই পর্ব শেষ। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানান, শিক্ষকতার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে এনসিটিই। তাদের নিয়মবিধি অনুযায়ী যে-সব প্রশিক্ষিত প্রার্থী প্রাথমিক টেটে বসার যোগ্য, শুধু তাঁদের মধ্যে থেকেই এ বছর আবেদন নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেই পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েক হাজার প্রশিক্ষণরত প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়ে গেলেও তার ফল প্রকাশিত হয়নি। কোথাও সময় পার হলেও পরীক্ষাই হয়নি। এই সমস্যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ২০০ জন মামলাকারীকে টেটে বসার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। বাকি কয়েক হাজার প্রশিক্ষণরত প্রার্থীও তখন আন্দোলন শুরু করেন। তার পরে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদেরও সুযোগ দেওয়া হবে।

Advertisement

পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, ২০১৭-’১৯ শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়ারাও টেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকার ও পর্ষদ এই বিষয়ে আলোচনা করছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, চলতি মাসেই প্রশিক্ষণের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফল বেরোবে। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে ১৫ নভেম্বর। বিরোধী শিবিরের একটি অংশ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে মামলার জটে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন পার্থবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement