— নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ, এখনও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠছে। আদালতের পূর্ব নির্দেশের পরও কেন এই পরিস্থিতি, এখন ঠিক কী পরিস্থিতি রয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানতে হবে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে।
একই সঙ্গে বিচারপতি জানান, মঙ্গলবার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে পুলিশ সুপারকে। ওই পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি তাঁর কাছে জবাব চাইবে আদালত। তবে তিনি চাইলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির হতে পারবেন।
বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের ফলে অচলাবস্থা তৈরির অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। ওই অচলাবস্থা কাটাতে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় গত সপ্তাহে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি করা যাবে না। দৈনন্দিনের কাজকর্ম চালু রাখতে হবে। প্রতিবাদ করতে হলে তা হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু আদালতের ওই নির্দেশ মানা হয়নি বলেই অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার তাঁরা আদালতে জানান, পড়ুয়ারা হাই কোর্টের নির্দেশ মানছেন না। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তারা সব দেখেও চুপ রয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা।
তাঁদের আইনজীবীর দাবি, কর্তৃপক্ষই বিভিন্ন ভবনে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। পড়ুয়ারা আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ করছেন। আইন মোতাবেক এবং পুলিশকে জানিয়েই নির্দিষ্ট স্থানে আন্দোলন করছে। দু’পক্ষের দাবি এবং পাল্টা দাবির সত্যতা জানতে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চাইল আদালত। আদালতের প্রশ্ন, আদতে সত্যিই কি তালা দিয়ে রেখেছেন পড়ুয়ারা, না কি সেটা কর্তৃপক্ষের মিথ্যা অভিযোগ? আদৌও সেখানে কি সুষ্ঠু ভাবে পঠন-পাঠন চলছে? সবটাই তদন্ত করে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।