মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে চক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে। তা ঠিক নয়। কোনও চক্রান্ত করা হচ্ছে না। ফাইল চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট মামলায় কেন্দ্রের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে মুখবন্ধ খামে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার রিপোর্ট এবং এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ জুলাই।
গত মাসে আইনজীবী বিপ্লব রায়চৌধুরী হাই কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর আবেদন, এই বিষয়টি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেও পৃথক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। তাঁর বক্তব্য, এই ঘটনা নতুন নয়। ২০১৬ সালেও মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট হয়েছিল। কেন বার বার এমন ঘটনা হচ্ছে, এর পিছনে কোনও চক্রান্ত কাজ করছে কি না, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে চক্রান্তের কথা বলা হচ্ছে। তা ঠিক নয়। কোনও চক্রান্ত করা হচ্ছে না। প্রকাশ্য এজলাসে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জানানো যাবে না। আদালত নির্দেশ দিলে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (সেন্ট্রাল সিকিউরিটি এজেন্সি)-র রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে জমা দিতে পারি।’’ তার পরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রিপোর্ট তলব করেছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশে ভোটের আগে বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে যান মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার সময় দমদম বিমানবন্দরে অবতরণের আগে বিমানটিতে ঝাঁকুনি হয়। মমতা দাবি করেছিলেন, দুলতে দুলতে ১০০ মিটার নীচে নেমে আসে বিমানটি। ওই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয় খারাপ আবহাওয়ার জন্য বিমানটিকে নীচে নামানো হয়েছিল।