২০১৮ সালে মুকুন্দপুর নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ চার বছরেও মানা হয়নি। মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর ওই স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজি হয়। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়াটা নির্ভর করে অর্থ সচিবের উপর।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। ফাইল ছবি।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ ববি শরাফের একক বেঞ্চের নির্দেশ, চার বছরেও কেন তাঁরা আদালতের নির্দেশ মানেননি তার জবাব দিতে হবে। আগামী ১৭ মে এই মামলার শুনানি রয়েছে উচ্চ আদালতে।
২০১৮ সালে মুকুন্দপুর নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ চার বছরেও মানা হয়নি। মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর ওই স্কুলকে সরকারি তকমা দিতে রাজি হয়। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়াটা নির্ভর করে অর্থ সচিবের উপর। কারণ, নিয়মমাফিক সরকারি অনুমোদন পেলে সমস্ত খরচ বহন করতে হয় রাজ্যকে। কিন্ত তৎকালীন অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ সেই অনুমোদন দেননি। পরবর্তী অর্থসচিব মনোজও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই ওই দুই আমলার কাছে জবাব চেয়েছে আদালত।
সুদীপ্ত বলেন, ‘‘এত দিন ধরে অনুমোদন না পাওয়ার কারণে স্কুলটি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্কুলের উন্নয়নের কাজ আটকে যায়। এমনকি সেখানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন ও পেনশন নিয়ে চিন্তায় থাকেন।’’ এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি শরাফের মন্তব্য, ‘‘তৎকালীন হাই কোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ কার্যকর করতে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল রাজ্যকে। অথচ এখনও অবধি তা হল না। এর ফলে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। সেই মামলায় মঙ্গলবার নবান্নের ওই দুই আমলার বিরুদ্ধে রুল জারি করা হল।