প্রসঙ্গত, মাটিয়া ও ইংরেজবাজার ধর্ষণ-কাণ্ডে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। দু’টি মামলার শুনানি একত্রে শুরু হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
ফাইল ছবি
মাটিয়া ও ইংরেজবাজার ধর্ষণ-কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, আপাতত তদন্তে কোনও গাফিলতি নজরে আসছে না তাদের। তাই এই দু’টি ঘটনার তদন্ত রাজ্য পুলিশ চালিয়ে যেতে পারে।
শুনানিতে আদালত আরও বলে, আগামী দিনে ওই দু’টি ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখা হবে। তবে মামলাকারী যদি চান কোনও পুলিশ কর্তাকে শীর্ষে রেখে তদন্ত চালানো যেতে পারে। সেই পুলিশকর্তার নাম মামলাকারীকে জানাতে হবে। আদালত বিবেচনা করে তা নিয়ে নির্দেশ দেবে।
প্রসঙ্গত, মাটিয়া ও ইংরেজবাজার ধর্ষণ-কাণ্ডে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। দু’টি মামলার শুনানি একত্রে শুরু হয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে এই মামলার শুনানিতে পুলিশের কাছে কেস ডায়রি-সহ তদন্ত রিপোর্ট চায় কলকাতা হাই কোর্ট। দুই নিগৃহীতা নাবালিকা যাতে সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা পায় তা নিশ্চিত করতে বলে আদালত। কিন্তু মামলাকারীদের দাবি ছিল দু’টি ঘটনায় তদন্ত করুক সিবিআই।
২৪ পরগনার মাটিয়ায় এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এক দিন নিখোঁজ থাকার পর তাকে একটি পার্কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অন্য দিকে, মালদহ জেলার ইংরেজবাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর এলাকায় এক কিশোরীকে মুখ, হাত বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ এপ্রিল।