Chancellor

Chancellor of Universities: রাজ্যপাল নন, এ বার মুখ্যমন্ত্রীই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, প্রস্তাবে সিলমোহর মমতা মন্ত্রিসভার

রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ১৬:০৬
Share:

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে আনা প্রস্তাবে সিলমোহর দিল মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে সরকার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে সরকার।’

বস্তুত, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপাল এবং সরকারের সঙ্ঘাত পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। শিক্ষাক্ষেত্রেও এই সঙ্ঘাত বারবার চরমে পৌঁছেছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলেও উপাচার্যরা যাননি। তার পর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল। এ ছাড়া উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাত বাধার নজির রয়েছে রাজ্যের। এমন আবহে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরানোর ভাবনা-চিন্তা বহু আগেই শুরু হয়েছিল সরকারের অন্দরে। তখনই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবতে চলেছে সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চেয়ে ২০১০ সালে প্রস্তাব করেছিল একটি কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া জানতে রাজভবনে ফোন করা হয়েছিল। রাজভবন সূত্রে জানান হয়েছে, এ বিষয়ে রাজ্যপাল ‌‌যা বলার টুইট করে বলবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement