Bus Terminus

ধর্মতলার বাস টার্মিনাস সরিয়ে আনা হোক ট্রাম ডিপোতে, প্রস্তাব বাস মালিক সংগঠনের

গত ৭ অগস্ট পরিবহণ ভবন ২-তে বাস টার্মিনাস সরানোর বিষয়ে বাস মালিকদের সংগঠন এবং পরিবহণ দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে একমত হতে পারেনি দু’পক্ষই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৩ ১২:২৬
Share:

ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড। — ফাইল চিত্র।

ধর্মতলার বাস টার্মিনাসটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক কাছের ট্রাম ডিপোতে। সম্প্রতি এমনই প্রস্তাব জমা পড়েছে পরিবহণ দফতরে। বাস মালিকদের সংগঠন ‘সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসে’র তরফে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতরকে। যেখানে ধর্মতলা টার্মিনাসের বিকল্প হিসাবে বাস মালিকদের কাছের ট্রাম ডিপোটি ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ধর্মতলা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে বাস টার্মিনাস। সম্প্রতি পরিবহণ দফতর আদালতের এই নির্দেশটি কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে। সেই পদক্ষেপে বিকল্প বাস টার্মিনাসের জায়গার সন্ধান শুরু হয়েছে। গত ৭ অগস্ট পরিবহণ ভবন ২-তে বাস টার্মিনাস সরানোর বিষয়ে বাস মালিকদের সংগঠন এবং পরিবহণ দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে একমত হতে পারেনি দু’পক্ষই।

Advertisement

পরিবহণ দফতরের তরফে, ওই বৈঠকে বিকল্প বাসস্ট্যান্ড হিসেবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাস ডিপোগুলোর কথা বলা হয়েছিল। আর যদি বাস নিয়ে ধর্মতলায় আসতেই হয় তাহলে যাত্রীদের নামাওঠা হয়ে গেলেই তাদের বেরিয়ে যেতে হবে। বাস টার্মিনাসে দাঁড়ানো চলবে না। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়নি বাস মালিক সংগঠনগুলি। তাদের যুক্তি ছিল, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ শহরতলী থেকে আসা বাসগুলি শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় এসে যাত্রীদের নামাওঠা করায়। তাই বাসগুলি শহরের অন্যত্র দাঁড়ালে যাত্রীদেরই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। ফলে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবসা ব্যাপক ভাবে মার খাবে। তা ছাড়া ধর্মতলায় এসে বাসগুলি খানিক ক্ষণ দাঁড়ালে বাস চালক এবং কন্ডাক্টর উভয়েই কিছু ক্ষনের জন্য বিশ্রাম পান। তাই পরিবহণ দফতরের উচিত অন্যত্র বাস টার্মিনাস নিয়ে যাওয়ার বদলে ধর্মতলারই কোনও জায়গায় বন্দোবস্ত করা। ফলে এক দিকে যেমন আদালতের নির্দেশ মানা হবে, তেমনই বাস পরিষেবাও ব্যাহত হবে না।

নিজেদের প্রস্তাব প্রসঙ্গে সিটি সাবারবান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, “আমরা চাই যাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধা না হোক। তাই বাস টার্মিনাস হিসেবে ট্রাম ডিপোটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হোক। কারণ, এখন মাত্র ৩-৪টির রুটেই ট্রাম চলে। সেই ডিপোর বেশিরভাগ জায়গা এখন ব্যবহার হয় না। ওই ডিপোটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড করেও বাস পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ফলে যেমন দূষণ রোধ করা যাবে, তেমনি আদালতের নির্দেশ পালন করা যাবে।” পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বাস মালিকদের সংগঠনের এই প্রস্তাব এখনই বিবেচনায় আনবে না তারা। আগে পরিবহণ দফতর নিজেদের অবস্থান আদালতে জানাবে। পাশাপাশি, এই টার্মিনাস নিয়ে রাইটসকে সমীক্ষার কাজ করতে দিয়েছে পরিবহণ দফতর। সেই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চায় না তারা। তবে পরিবহণ দফতরের আরও একটি অংশ জানাচ্ছে, ধর্মতলার ওই ট্রাম ডিপোতে এখন মেট্রোরেলের কাজ চলছে। তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওখানে বিকল্প কোনও কাজ করা সম্ভব নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement