তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মামলা খারিজ করল আদালত। —ফাইল ছবি।
কলকাতা পুলিশ তাঁকে আগেই ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিল। এ বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। মামলাটি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আবেদন ছিল, বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছেন অভিষেক। অথচ অভিযোগ জানাতে গেলে থানা তা নিচ্ছে না। আদালত অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিক। বুধবার সুকান্তের এই মামলাটি একাধিক যুক্তি দেখিয়ে খারিজ করে দেন কলকাতার অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
সুকান্তের মামলা খারিজের নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এক, অভিষেক যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ওই মন্তব্য করেছেন তা ভবানীপুর থানার অন্তর্গত। বিজেপি জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল। ফলে অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি বিজেপি। দুই, অভিযোগকারী হলফনামা দিলে তাঁর আদালতে উপস্থিত থাকা দরকার। এই মামলায় শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন না সুকান্ত। তিন, মূল ঘটনার অনেক পরে থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়া হয়। এমনকি ওই মন্তব্যের ফলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার উদাহরণ নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে এই মামলায় অভিষেককে ক্লিনচিট দেয় কলকাতা পুলিশ। তারা আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানায়, অভিষেকের ওই মন্তব্যের পর রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা-জনিত কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়নি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধুন্ধুমার বেধেছিল। ওই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘পুলিশ অনেক সংযম দেখিয়েছে। আমি হলে এইখানে (কপালে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে) গুলি করতাম।’’ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের ওই মন্তব্য ঘিরে ‘বিতর্ক’ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ জানাতে যায় বিজেপি। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। এর পর শাসকদলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে আদালতের দ্বারস্থ হন সুকান্ত।