মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই এই বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য। প্রশাসন সূত্রে খবর, সমবায় দফতরের অডিটের ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হতে পারে নোটবন্দিকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণে জমা পড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির দিকে।
বর্তমানে রাজ্যে সমবায় ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৪২। এখন কাজ করছে অন্তত ২৫-৩০টি ব্যাঙ্ক। মূলত সেই ব্যাঙ্কগুলিতেই অডিট করাবে সমবায় দফতর। সেই অডিটে কোনও ত্রুটি ধরা পড়ল ব্যবস্থা নেবে রাজ্য।২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই সময় ব্যাঙ্কে লেনদেনের উপর বেশকিছু বিধিনিষেধও জারি করে দেয় কেন্দ্র। কিন্তুসমবায় দফতর সূত্রে খবর, ওই সময় রাজ্যের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তিনিজেদের প্রভাব খাটিয়ে রাজ্যের বাছাই করা কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কে প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা জমা করান। বিশেষ করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় থাকা বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেই এই ধরনের লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল বলে জানিয়েছেন সমবায় আন্দোলনের এক নেতা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ওই সমবায় আন্দোলনের নেতা অভিযোগের সুরে বলেছেন, ‘‘ওই সময় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে কয়েকজন প্রভাবশালী লোকেরা প্রচুর পরিমাণ নগদ জমা করেছিলেন। কিন্তু মৌখিক অভিযোগে বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রী অডিট করানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সঠিকভাবে হলেই ওই সব লেনদেনের কথা উঠে আসবে।’’
সমবায় দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, দফতর চাইলেই কোনও ব্যাঙ্ক বা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যদি না কোনও অডিটে ব্যাঙ্কের লেনদেনে গরমিল ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে সরকার যখন অডিটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও আর্থিক বেনিয়ম বা দুর্নীতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।