প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় যোগ্যতা নিয়ে আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্নাতকস্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ বসতে পারবেন ইচ্ছুকরা। জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যদিও এর আগে পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট-এ বসতে হলে স্নাতকে অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (বিএড) থাকা বাধ্যতামূলক।
রিজ়ার্ভ ক্যাটেগরির পরীক্ষার্থীরাও টেট-এ বসতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে তাঁদেরকে বিএড কোর্সের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সেই সঙ্গে স্নাতকস্তরে যাঁরা ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, রিজ়ার্ভ ক্যাটেগরির সেই চাকরিপ্রার্থীরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। ২০১০ সালের ২৩ অগস্টের আগে যাঁরা স্নাতক-সহ বিএড ডিগ্রি পেয়েছেন, তাঁরাই রিজ়ার্ভ ক্যাটেগরিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
বুধবার জারি করা পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি। —নিজস্ব চিত্র।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য টেট-এর ঘোষণা করেছে পর্ষদ। পুজোর আগে ওই ঘোষণা করেছিলেন পর্ষদ চেয়ারম্যান গৌতম পাল। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ওই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকের ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। পরে আরও এক বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদ জানিয়েছিল, ১১ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটে টেট-এর পরীক্ষা চলবে।