বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যায়। নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে প্রাথমিকের স্কুলে চাকরি পাওয়া আরও ৩ জনের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। বিচারপতির এজলাসে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন এই তিন শিক্ষক। আদালত তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাবেন না। এই নিয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চাকরি যাওয়া মোট ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের মধ্যে ২৫৮ জনেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখল আদালত।
বেআইনি ভাবে এবং নিয়োগের নিয়ম না মেনে প্রাথমিকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৬৮ জন শিক্ষকের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যায়। পরে সেই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই শিক্ষকেরা সুপ্রিম কোর্টে গেলেও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, তাঁদের আবেদন হাই কোর্টেই শোনা হবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, এ ব্যাপারে, হাই কোর্টে এই শিক্ষকদের চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে। সেই নথি খতিয়ে দেখে হাই কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মানতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক দফায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন এই শিক্ষকেরা। তবে দু’জন ছাড়া আদালত প্রায় সবাইকেই ফিরিয়ে দিয়েছে। গত বুধবারই ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ৫৯ জনের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে ডিসেম্বর মাসেও প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। সোমবারের নির্দেশের পর সব মিলিয়ে বাতিল হওয়া চাকরির সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৮।