মানিক ভট্টাচার্যের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইডি। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে ইডি সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার ইডির আধিকারিকেরা কলকাতা হাই কোর্টে গিয়ে আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের কী করণীয়। হাই কোর্টের আইনজীবীদের কাছে আইনি পরামর্শ চেয়ে ইডির আধিকারিকরা জানতে চান মানিকের বিরুদ্ধে কি লুক আউট নোটিস জারি করা যেতে পারে? এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
টেটের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত কয়েক দিন ধরেই মানিকের খোঁজ করছে কেন্দ্রীয় আর্থিক নিয়ামক সংস্থা ইডি। মানিককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েক বার তলব করা হলেও বিধায়ক ইডির দফতরে হাজির হননি। গত ১০ অগস্টও ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল মানিককে। কিন্তু মানিকের তরফে তার কোনও জবাব এসে পৌঁছয়নি। এর পরই মানিকের খোঁজ শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির খোঁজ পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবীদের পরামর্শ চাইতে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে মানিকের বাড়িতে গত ২২ জুলাই তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে চলেছিল সেই তল্লাশি। তার পাঁচ দিনের মধ্যেই মানিককে ডেকেও পাঠায় ইডি। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চলে জেরা। কিন্তু এর পরে আরও দু’বার মানিককে ডেকে পাঠানো হলেও মানিকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। মানিকও আসেননি ইডির দফতরে। এর পরই মানিকের খোঁজ শুরু করে ইডি।
সূত্রের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেছেন ইডির আধিকারিকেরা। সেই সূত্রেই সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের দু’দিনের মধ্যেই ফের তলব করা হয়েছিল তাঁকে।
এর আগে প্রাথমিকের স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ মানিককে পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারনের নির্দেশ দেয়। পরে এই মামলায় মানিক-সহ তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের আগে পর্যন্ত সম্পত্তির তথ্যও আদালতে জমা দিতে বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনও করেছিলেন মানিক।