ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের মামলায় পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এ বার ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন মানিক ভট্টাচার্য। এই মামলা তালিকায় না থাকার কারণে মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা নেই। বুধবার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে মানিককে অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি। মানিককে মঙ্গলবার হাই কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে দুপুর দুটোর মধ্যে আসতে বলা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, মানিককে আদালতে উপস্থিত থেকে টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত বিশেষ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সম্প্রতি ডেকে পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিককে। গত সোমবার তিনি সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরাও দেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই মানিককে অপসারণের নির্দেশ দেওয়ায় এই মামলা নয়া মোড় নেয়।
অন্য দিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ২৬৯ জন নয়, বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে। কলকাতা হাই কোর্টের কাছে এই তথ্য জমা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে, তাই নম্বর বাড়ানো হোক, এই মর্মে পর্ষদের কাছে মোট ২,৭৮৭ টি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। যার মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান যাচাইয়ের পরীক্ষা (টেট) হয়। অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদের কাছে ছিল না। ১৮ লাখ প্রার্থী অসফল হন। পর্ষদের দাবি, এত সংখ্যক অনুত্তীর্ণদের খুঁজে বের করে নম্বর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে যাঁরা নম্বর বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন, তাঁদেরকেই বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়। বেআইনি ভাবে নিয়োগের জেরে আগে ২৬৯ জন চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।