ইডির আর্জি মঞ্জুর হলে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য দু’জনকেই আরও বেশি দিন জেলে থাকতে হতে পারে। ফাইল চিত্র।
জেলে ১৪ দিন কাটিয়েও জামিন চাইলেন না বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী এবং পুত্র। দু’জনেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। সোমবার নগর দায়রা আদালতে দু’জনের বিরুদ্ধেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তদন্তকারী সংস্থা ইডি তাঁদের জেল হেফাজত না চাইলেও, পরবর্তী শুনানির জন্য আদালতের কাছে একটু বেশি সময়ের আর্জি জানায়। অর্থাৎ আর্জি মঞ্জুর হলে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য দু’জনকেই আরও বেশিদিন জেলে থাকতে হতে পারে। শতরূপা বা শৌভিক অবশ্য তার পরেও জামিন চেয়ে আদালতে কোনও আবেদন করেননি। অন্য দিকে, ইডির আবেদনে এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয় মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রকে। আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারপর আদালত চত্বরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। শতরূপাকে আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগার এবং শৌভিককে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছিল, যেখানে তাঁর বাবা বিধায়ক মানিককেও রাখা হয়েছে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পর সোমবার ছিল মানিকজায়া এবং তাঁদের পুত্রের শুনানি। সেখানেই তাঁদের আইনজীবী জানিয়ে দেন, তাঁদের মক্কেল আপাতত জামিনের কোনও আবেদন করছেন না।
তবে জামিনের আবেদন না করলেও শতরূপা-শৌভিক ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কার্টে তাঁদের বিরুদ্ধে ইডির আনা অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলার একটি শুনানি হলেও বিচারপতি কোনও নির্দেশ দেননি। তাই মামলাটি এখনও বিচারাধীন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং পুত্র শৌভিকের বিরুদ্ধে ইডি অভিযোগ করেছিল, তাঁরা এই দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানেন। নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিধায়ক মানিকের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে এঁরা দু’জনেই অনেক কিছু জানেন বলেও দাবি ইডির।