West Bengal SSC Scam

নিজের স্কুলে পুত্রকে চাকরি দিয়ে গ্রেফতার হেডস্যর, সিআইডি আদালতে জানাল, পলাতক পুত্রকে খোঁজা হচ্ছে

বাবা স্কুলের প্রধানশিক্ষক। সেই স্কুলেই নথি জাল করে চাকরি জুটিয়েছিলেন পুত্র। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই মামলার তদন্তভার দিয়েছিলেন সিআইডিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৩
Share:

ফাইল চিত্র।

অপত্যস্নেহে আইন ভেঙেছিলেন প্রধানশিক্ষক বাবা। নিজের স্কুলে ছেলের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন নথি জাল করে। সম্প্রতি ওই প্রধানশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে চলছিল। তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। বুধবার তারা আদালতে জানিয়েছে, ওই প্রধানশিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর পুত্রকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের সুতির এই পিতা-পুত্রের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে জানুয়ারিতেই। বিচারপতি বসুর এজলাসে এ সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে। জানা যায়, মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষ তিওয়ারি গত তিন বছর ধরে তাঁর বাবার স্কুলে জাল নথির ভিত্তিতে চাকরি করছেন। তিন বছর ধরে নিয়মিত বেতনও নিচ্ছেন। অথচ জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্র নেই। কী করে এমন ঘটল তার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, নবম-দশম শ্রেণির এক ভূগোল শিক্ষকের নিয়োগপত্র এবং সুপারিশপত্র জাল করেই এই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। ওই শিক্ষকের সুপারিশপত্রে নিজের নাম বসিয়ে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি সিআইডিকে তদন্ত করে দেখতে বলে হাই কোর্ট। বুধবার সিআইডি বলেছে, ‘‘সুপারিশপত্রের হাতের লেখা মিলে যাওয়ায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানশিক্ষক আশিসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর ছেলে পলাতক।’’ তবে একই সঙ্গে সিআইডি আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ছেলেরও খোঁজ চলছে। দ্রুত তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে।’’

গত ১০ ফেব্রুয়ারি আশিসকে কলকাতায় সিআইডির ভবানী ভবনের দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সিআইডির রিপোর্ট জানার পর বিচারপতি বসু তদন্তকারীদের কাছে পাল্টা জানতে চান, ‘‘আর কত এমন ঘটনা ঘটেছে? সমাজে এই দুর্নীতির প্রভাব কী?’’ এর জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘‘বাঁকুড়া এবং বীরভূমের কয়েকটি জায়গায় এই ধরনের ঘটনা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিআইডি। তবে এটা সংগঠিত অপরাধ হলে আরও অনেক এমন ঘটনা জানা যেত।’’ বিচারপতি বসু এর পর সিআইডিকে বলেন, ‘‘অনিমেষকে দ্রুত খুঁজে বার করুন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement