Test Examinations

Higher Secondary: টেস্ট আবশ্যিক করার দাবি উচ্চ মাধ্যমিকে

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি জানান, করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে স্কুলগুলিকে ডিসেম্বরের শেষে মাধ্যমিকের টেস্ট নিতে বলা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের আগে এত দিন টেস্ট নেওয়া হত মূলত চূড়ান্ত বোর্ড পরীক্ষায় কাদের পাঠানো যায়, সেই যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য। অতিমারি পর্বের অভিজ্ঞতায় টেস্টের আরও একটি বড় ভূমিকা ধরা পড়েছে বলে শিক্ষা শিবিরের অভিমত। সেটা হল চূড়ান্ত পরীক্ষার বিকল্প মূল্যায়নী ভূমিকা। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনগুলির বক্তব্য, গত বছরের মতো এ বারেও শেষ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেলে টেস্টের নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টের বিষয়টি স্কুলের ইচ্ছার উপরে ছেড়ে না-দিয়ে সেটি বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। এবং তাঁরা চাইছেন, টেস্ট নেওয়ার ব্যবস্থা হোক অফলাইনে অর্থাৎ স্কুলে গিয়েই।

Advertisement

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি জানান, করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে স্কুলগুলিকে ডিসেম্বরের শেষে মাধ্যমিকের টেস্ট নিতে বলা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, প্রতি বার স্কুলগুলিই নিজেদের মতো করে টেস্ট নেয়। সংসদ তাতে হস্তক্ষেপ করে না। এ বারেও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট হবে কি না, সেটা স্কুলের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনের একাংশ চাইছে, মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও স্কুলগুলিকে টেস্ট নেওয়ার নির্দেশ দিক সংসদ। বিভিন্ন প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। আর পড়ুয়ার কেরিয়ার কোন দিকে যাবে, তার দিক নির্দেশ করে উচ্চ মাধ্যমিক। পড়ুয়াজীবনে দু’টিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। মাধ্যমিকে টেস্ট নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, অথচ উচ্চ মাধ্যমিকে অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না কেন? কেন স্কুলগুলির মর্জির উপরে টেস্টের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে?

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র জানান, গত বার করোনাকালে কিছু স্কুল নিজেদের উদ্যোগে ‘মক টেস্ট’ বা মহড়া পরীক্ষা নিয়েছিল। কিন্তু তা উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়নে কাজে আসেনি। কারণ, সব স্কুল সেই টেস্টও নেয়নি। কৃষ্ণাংশুবাবু বলেন, “স্কুলগুলিকে টেস্ট নিতে বাধ্য করুক সংসদ। কোনও কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যদি না-হয়, সে-ক্ষেত্রে ওই টেস্টের মূল্যায়ন কাজে আসবে।”

কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিকেও ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে টেস্ট নেওয়া দরকার। এই বিষয়ে সংসদের তরফে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও জরুরি। শিক্ষক-নেতা ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নবকুমার কর্মকার বলেন, “করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভাল। নভেম্বর-ডিসেম্বরে সিবিএসই, সিআইএসসিই বোর্ড প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা নিচ্ছে। তা হলে অফলাইনে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট নিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সংসদ টেস্ট নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিক।”

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর বক্তব্য, এ বার যারা উচ্চ মাধ্যমিক দিতে চলেছে, করোনার জন্য গত দু’বছরে তারা কোনও পরীক্ষাই দিতে পারেনি। তারা শেষ পরীক্ষা দিয়েছে মাধ্যমিক। উচ্চ মাধ্যমিকে বসার আগে এক বার অফলাইনে টেস্টে বসতে পারলে ওরা নিজেদের যোগ্যতা যাচাই করার সুযোগ পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement