Domkal

এর পরে ‘এজেন্সির’ জালে কে, জল্পনা ডোমকলে

জাতীয় সড়কের ধারে এবং তার গ্রামের বাড়ি মাঝপাড়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সেহগালের জমি, বাড়ি রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

ডোমকল শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১১
Share:

অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন। ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের কোটি টাকার উপরে সম্পত্তি ইডি সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সম্পত্তির বেশ কিছু ডোমকলেই রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। জাতীয় সড়কের ধারে এবং তার গ্রামের বাড়ি মাঝপাড়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সেহগালের জমি, বাড়ি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তার কতটা সেহগালের নিজের নামে, কতটা অন্যের নামে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ডোমকলের অতিরিক্ত জেলা নিবন্ধক তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের দফতরে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা সেহগাল হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য এসেছিলেন। যে সব বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সে সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছি।’’

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির (এজেন্সি) তদন্তে আরও কেউ জড়িয়ে পড়তে পারেন কি না, তা নিয়ে ডোমকল জুড়ে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ডোমকল বাজার এলাকায় সেহগালের মামা হাবিবুর রহমানের বহুতল বাড়ি রয়েছে। যে বাড়ি সেহগালের মা লতিফা বেওয়া হাবিবুরকে দান করেছিলেন বলে দাবি। সেই বাড়ির দাম কোটি টাকা ছুঁইছুঁই। অথচ স্বামীর পেনশন ছাড়া লতিফার তেমন কোনও আয় নেই। হাবিবুরের দাবি, ‘‘দিদি কেন দান করেছেন, সেটা দিদি ভাল বলতে পারবেন।’’ লতিফা বেওয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। একটি নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ও সেহগালের টাকা খাটছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তবে এ ব্যাপারে এলাকার মুখে কুলুপ।

জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্ত করছে, ফলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানার কথা নয়।’’ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ও মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘সেহগালের সঙ্গে এ জেলার রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এ জেলার কোনও রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি জড়িয়ে থাকেন এই সব বিষয়ের সঙ্গে, সেটা আমাদের ভাবনার বিষয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement