প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত না-নিয়েই ২৫৩টি বিএড কলেজের পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ফলে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানালেন রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার পক্ষের কোর্ট মেম্বার মনোজিৎ মণ্ডল। মনোজিৎ বলেন, ‘‘২৫৩টি বিএড কলেজের ছাত্র ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে মেল করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুয়ায়ী কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তবেই অনুমোদন বাতিল হতে পারে। এই নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠক হয়নি।’’
এই বিষয়ে রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্যর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালী পুজোর ছুটির দিন রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠানো হল কেন? এই চিঠি সম্পর্কে রেজিস্ট্রার জানলেন কি জানলেন না তার আগে সমাজমাধ্যমে লেখা হল। সংবাদমাধ্যমকে সব বলা হল। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে? বিশ্ববিদ্যালয় খুলুক, তার পর এই নিয়ে যা বলার বলব।’’
বিএড কলেজগুলিতে ছাত্র পিছু শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকা-সহ আরও কিছু শর্ত না-মানার অভিযোগে রাজ্যের ২৫৩টি বিএড কলেজের ২০২৩-২৪ সালের ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করা নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য সোমা বলেন, ‘‘বিএড কলেজের পড়াশোনার মান ঠিক রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। অনেক কলেজেরই ছাত্র পিছু শিক্ষকের সংখ্যা এতটাই কম যে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কী ভাবে ছাত্র ভর্তি করবে কলেজগুলো?’’ অন্য দিকে কয়েকটি বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ইন্টারভিউয়ের অনুমতি চেয়েও পাওয়া যায়নি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শনিবার বলেছেন, ‘‘আমি নিয়ম মেনে তদন্ত করে দেখব।’’ তার পরই এই চিঠি গেল রেজিস্ট্রারের কাছে।