কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে। —ফাইল চিত্র।
কার্তিক মাস শেষ হয়ে অগ্রহায়ণ পড়ে গিয়েছে। তার জেরেই বাতাসে হিমেল ভাব বাড়ছে। পরিস্থিতি বিচার করে আবহবিদেরা মনে করছেন, চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে।
তবে শীত বলতে যা বোঝায়, সেই পরিস্থিতি আসতে আরও দেরি আছে বলেও জানিয়েছেন আবহবিদেরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস সোমবার বলেন, ‘‘চলতি সপ্তাহে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে পারে।’’ প্রসঙ্গত, এ দিনই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল।
বর্ষা বিদায়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়। বঙ্গোপসাগর থেকে জোলো দখিনা বাতাসের পরিবর্তে শুষ্ক, ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করে। তার জেরেই তাপমাত্রা নামে। তবে বঙ্গোপসাগরে আচমকা কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ তৈরি হলে উত্তুরে হাওয়া বাধা পায়। তাতে তাপমাত্রার পতনও থমকে যায়। আপাতত বঙ্গোপসাগরে তেমন কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের আশঙ্কা নেই বলেও গণেশকুমার জানিয়েছেন। আবহবিদদের একাংশ জানিয়েছেন, কলকাতায় বা লাগোয়া শহরাঞ্চলের তুলনায় জেলাগুলিতে রাতের পারদ আরও কিছুটা নামতে পারে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির মতো এলাকাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নামতে পারে। মৌসম ভবনের খবর, আপাতত উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল বাদ দিয়ে বাকি উত্তর-পশ্চিম ভারতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সে ভাবে স্বাভাবিকের নীচে নেই।
তবে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর ভারতে ঢুকতে পারে। আবহবিদদের অনেকের মতে, সেই ঝঞ্ঝা কেটে গেলে ওই এলাকাগুলিতে ঠান্ডার দাপট বাড়তে পারে। তার প্রভাবে নভেম্বরের শেষে আরও কিছুটা পারদ নামতে পারে বঙ্গে।