ফাইল চিত্র। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
চৈত্র মাসের প্রথম দিনেই গরমের দৌড়ে কলকাতা ছুঁয়ে ফেলল পুরুলিয়াকে! আবহাওয়া দফতরের খবর, মঙ্গলবার কলকাতা এবং পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল একই, ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মহানগরের থেকে পিছনে রয়েছে পানাগড়, আসানসোল, শ্রীনিকেতনের মতো পশ্চিমী এলাকাগুলি।
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলিতে এমন তাপমাত্রা মার্চের মাঝামাঝি বিরল নয়। কিন্তু কলকাতায় এমন গরম কেন? প্রসঙ্গত, কলকাতার এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি।
হাওয়া অফিস সূত্র বলছে, মার্চের প্রথমার্ধে এমন গরম কলকাতায় বিরল নয়। উদাহরণ হিসেবে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মার্চের শেষে তো কলকাতা একাধিক বার প্রায় ৪০ ডিগ্রিও ছুঁয়েছে!
এ দিন কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত দমদম বা সল্টলেকেও বেজায় গরম মালুম হয়েছে। দমদমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৯ ডিগ্রি থাকলেও চুলচেরা বিচারে সল্টলেক (৩৬.৪ ডিগ্রি) ছাপিয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া এবং কলকাতাকে। তবে রাজ্যে এ দিন পারদের উত্থানে সবার উপরে রয়েছে মেদিনীপুর। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
প্রসঙ্গত, রোদের মেজাজে বসন্তের বিদায় বার্তা মিললেও বসন্তোৎসব এখনও হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই প্রশ্ন, আসন্ন বসন্তোৎসবে কি তা হলে আগুন ঝরাবে সূর্য?
আবহবিদদের পূর্বাভাস, আগামী ৩ দিনে পাহাড় বাদে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রায় বড় ধরনের বদলের সম্ভাবনা নেই। যা দেখে অনেকেই বলছেন, চৈত্রের শুরু থেকেই রোদের আগুনে মেজাজ সইতে হতে পারে বঙ্গবাসীকে।
গরম পড়লেও সে ভাবে আর্দ্রতার বাড়াবাড়ি এখনও দেখা যাচ্ছে না। তার ফলে পশ্চিমাঞ্চলের মতো খাস কলকাতাতেও শুকনো গরম মালুম হচ্ছে। অনেকের মতে, বঙ্গোপসাগর থেকে এখনও হুড়মুড়িয়ে জোলো বাতাস ঢুকছে না। তার ফলে পশ্চিমের গরম বাতাস সহজেই বয়ে আসছে। তার জেরেই উপকূলীয় বঙ্গেও এমন শুকনো গরম মালুম হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে শুকনো গরমের পূর্বাভাসও দিয়েছেন আবহবিদেরা।