Temperature

শীতের ব্যাটে অবশেষে চার-ছয়

অতিমারির মধ্যেই ভিড় বেড়েছে পথে। ছুটিবারে মহানগর-সহ রাজ্যের সর্বত্রই দোকানে-বাজারে ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৫১
Share:

উষ্ণতার খোঁজে: বহরমপুরে রবিবার। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

শীতে গর্ত খুঁজে নিয়ে একটানা ঘুমোয় সাপ। কিন্তু এ বার ডিসেম্বরের গোড়া থেকে শীত নিজেই এত ঝিমোচ্ছিল যে, সে কোন গর্তে ঢুকেছে, তা নিয়ে গবেষণার তোড়জোড় চলছিল। ‘শীতকাল কবে আসবে’— এমন হাহাকারের মধ্যেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেনে স্বমূর্তিতে হাজির শীত। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, শীতকাল বঙ্গে থিতু হয়েছে। উত্তুরে বাতাসের দাপট আরও অন্তত তিন দিন চলবে।

Advertisement

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। দমদম এবং ব্যারাকপুরে তা ছিল যথাক্রমে ১০.৮ এবং ৭.৯ ডিগ্রি। শৈত্যপ্রবাহ বয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায়।

আবহবিজ্ঞানীরা জানান, শীতের এই দাপটের মূলে রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের কনকনে ঠান্ডা। তার ফলে উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসছে বাংলায়। এ দিন অমৃতসরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল এক ডিগ্রি! অম্বালায় চার। দিল্লির সফদরজংয়ে রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ৩.৪ ডিগ্রিতে! উত্তরপ্রদেশ, বিহারেও চলছে কনকনে ঠান্ডা।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে শাহের সঙ্গী কেন বিজেপি নেতারা, প্রশ্ন

আরও পড়ুন: বাইরের লোক আনতে হয় না: অনুব্রত

ছুটির দিনে সকাল থেকেই নরম রোদ এবং ঠান্ডা হাওয়া পাওয়া গিয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। আর সূর্য ডুবতেই বেড়েছে কনকনে ভাব। আকাশ মেঘমুক্ত। তাই রোদে মাটি গরম হলেও সন্ধ্যার পরে তাপ বিকিরণ চলছে দ্রুত। তাতেই রাতের পারদ নামছে। আজ, সোমবার কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের সর্বত্রই পারদ আরও কিছুটা নামার সম্ভাবনা।

অতিমারির মধ্যেই ভিড় বেড়েছে পথে। ছুটিবারে মহানগর-সহ রাজ্যের সর্বত্রই দোকানে-বাজারে ভিড়। শীতের আমেজের সঙ্গে তাল রেখেই বিকিয়েছে টুপি, সোয়েটার, মাফলার। ভালই ভিড় ছিল নিউ মার্কেট চত্বরে, ময়দানে, কেক-মোয়ার দোকানে।

শীতের দৌড়ে উত্তরবঙ্গ চিরকালই এগিয়ে থাকে। আবহাওয়া দফতরের খবর, কয়েক দিন ধরেই দার্জিলিঙে রাতের পারদ ৩-৪ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে তরাই এবং দুই দিনাজপুরেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement