মাসের শেষে উত্তুরে হাওয়া ঢুকে হেমন্তের শিরশিরানি ধরিয়েছে রাজ্যে। ফাইল চিত্র।
অক্টোবরের গোড়ায় বর্ষার দাপটে নাকাল হয়েছিল বঙ্গভূমি। মাসের শেষে উত্তুরে হাওয়া ঢুকে হেমন্তের শিরশিরানি ধরিয়েছে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে পারদ তরতরিয়ে নেমেছে, পিছিয়ে নেই দক্ষিণবঙ্গও! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী দিন পাঁচেক রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। জেলাগুলিতে ভোর বেলা হিমের পরশও মিলতে পারে। তবে আবহবিদেরা বলছেন, পারদ পতন মানেই শীত হাজির হওয়া নয়। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শীত হাজির হতে এখনও দেরি আছে।
আবহবিদদের অনেকে জানাচ্ছেন, উত্তর ভারতের পাহাড়ে তুষারপাত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত না-থাকায় সেই বরফ পেরিয়ে ঠান্ডা, উত্তুরে হাওয়া বাধাহীন ভাবে পূর্ব ভারতে আসছে। তার ফলেই তাপমাত্রা নামছে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোল, বাঁকুড়া, পানাগড়, বর্ধমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে। উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কম। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে রাতের তাপমাত্রা ১৭-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে অনেকের প্রশ্ন, এ বার কি কালীপুজো, দীপাবলিতে হিমের পরশ মিলবে? অনেকেই জানাচ্ছেন, দু-আড়াই দশক আগেও কালীপুজোর রাতে কলকাতা লাগোয়া শহরতলিতে হিম পড়ত। ভোরে ঘাসের ডগায় জমত শিশির বিন্দু। দূষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং প্রকৃতির মেজাজ বদলে যাওয়ায় ইদানীং তা আর দেখা যায় না। এ বার কালীপুজোর আগে পারদ পতনে তাই অনেকেই পুরনো দিন ফিরে পাওয়ার আশা করছেন।
বিভিন্ন বেসরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কালীপুজোয় কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে থাকতে পারে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘‘সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় সামান্য হেরফের হলেও কালীপুজোয় রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামবে না।’’ আবহবিদেরা মনে করছেন, কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে থাকলেও জেলাগুলিতে পারদ তার নীচেই থাকতে পারে।