প্রতীকী ছবি।
কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হাসনাবাদের হরিপুর এলাকার একটি গ্রাম। অভিযোগ, ২২ জানুয়ারি রাতে গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করার পরে সেই রাতেই বিষ খায় সে। শনিবার কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক হাসান সর্দার। গ্রামের বাসিন্দারা হাসানের বাড়িতে চড়াও হওয়ায় বাড়ি ছাড়া তার পরিবারও। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, লজ্জা ও ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। পুলিশ জানিয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ আগেই হয়েছিল। কিশোরীর মৃত্যুর পরে হাসানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগও হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরী টাকির একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। ২২ জানুয়ারি রাতে সে পড়তে গিয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এক সহপাঠীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। একটি দোকানের কাছে তার পথ আটকায় হাসান। অভিযোগ, ওই ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে সে। কিশোরীকে শাসাতেও থাকে। নাবালিকার সহপাঠী বাধা দিলে তাকে মারধর করে হাসান। ওই ছাত্রটি ছুটে পালিয়ে যায়। পালানোর চেষ্টা করে কিশোরীও। তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে হাসান। ওই কিশোরীর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মুখ চেপে ধরে কিশোরীকে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক। ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। লোক আসতে দেখে পালিয়ে যায় হাসান। তার পর থেকেই বেপাত্তা সে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথের ঘরে দিলীপ, চর্চা শহরে
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বালিকাকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পর দিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার তার মৃত্যু হয়। মায়ের অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়েকে হাসান প্রচণ্ড মারধরও করেছিল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, হাসান স্থানীয় এই ভাটার শ্রমিক। সে বিবাহিত। একটি কন্যা সন্তানও আছে।