—ফাইল চিত্র।
বুথ পর্যন্ত তৃণমূলের তথ্য-তালাশে নভেম্বর মাস থেকে সরাসরি পথে নামবে ‘টিম পিকে’। এত দিন দলের সংগঠক ও জনপ্রতিনিধিদের রাখলেও এই পর্বে তাঁরা সরাসরি কাজে নামছেন। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁদের সংগৃহীত তথ্যই বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তৃণমূলের পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরে জনসংযোগে নতুন পরকিল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে তিন মাস নানা স্তরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চলছে। পুজো মিটে যাওয়ার পরে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে দলের পদাধিকারী ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনমত বোঝার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। সংগঠনের নানা স্তরে এই জনসংযোগে দল ও সরকার সম্পর্কে মানুষের ক্ষোভ বা অভিযোগ সংক্রান্ত বহু তথ্যও হাতে এসেছে। এ বার সরাসরি তথ্য সংগ্রহে নামতে চলেছেন ‘টিম পিকে’র সদস্যেরা। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে এই ধরনের সংস্থার আলাদা ব্যবস্থা থাকে। ওঁরা (টিম পিকে) সম্ভবত এ বার সেই কাজে হাত দিতে চাইছেন। নিঃসন্দেহে তা দলের কাজে লাগবে।’’
গত তিন মাসে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক কাঠামোয় নাড়াচাড়া পড়েছে। জেলা, ব্লক ও বুথ স্তরে নির্দিষ্ট করে কয়েক হাজার কর্মী-সংগঠকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়েছে কলকাতার। সাংসদ, বিধায়কেরা তো আছেনই, নীচের তলায় পঞ্চায়েত ও পুরসভার সদস্যদেরও কলকাতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রাখতে চাইছেন তারা। এই অংশকে কী ভাবে দলের কাজে লাগানো হবে, তা ঠিক করার আগে ‘টিম পিকে’র সদস্যেরা সরেজমিনে ঘুরে দেখতে চান। তার পরে বহু জায়গায় জেলা, ব্লক বা বুথ স্তরে সংগঠন পরিচালনায় নতুন মুখ আনা হতে পারে।
দলীয় সূত্রে খবর, ‘টিম পিকে’র পরামর্শে রাজ্যে দলের লাভ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, লোকসভা ভোটের ফলের জেরে যে সব জায়গায় মনোবল কমেছিল, সেখানে কর্মী-সংগঠকেরা নতুন করে নেমেছেন। আবার অনেক জায়গায় দলের নেতা-কর্মীরা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে উদাসীন ছিলেন বলে রিপোর্ট পেয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। ‘টিম পিকে’র পরামর্শ নিয়ে সে সব জায়গায় পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।