প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাধ্যমিক-সহ সমস্ত বোর্ডের পরীক্ষাতেই এ বার ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ পাবেন শিক্ষিকারা।
এত দিন মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে পর্ষদ নির্দেশ দিত, পরীক্ষা চলাকালীন ছুটি পাবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সূত্রের খবর, সেই নীতি শিথিল করা হচ্ছে এ বার। কোনও শিক্ষিকার সন্তান দশমের বোর্ড-পরীক্ষা দিলে তিনি ওই ছুটি পাবেন। এই সুযোগ শিক্ষকেরা অবশ্য পাবেন না। এর আগে সন্তানদের অসুখ করলে অথবা স্কুলের পরীক্ষার সময়ে ওই ছুটি পেতেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এই চাইল্ড কেয়ার লিভের ন্যূনতম ১৫ দিনের ছুটি কেন কমানো হবে না তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে পরীক্ষা দশ দিনেই শেষ হয়ে যায়। অথচ চাইল্ড কেয়ার লিভের ছুটি ১৫ দিনের জন্য নিতেই হচ্ছে। সন্তানের শরীর খারাপের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, অনেকে অতিরিক্ত ছুটিতে ঘুরতেও চলে যাচ্ছেন।
কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “বোর্ডের পরীক্ষায় চাইল্ড কেয়ার লিভ ভাল, তবে তা পাঁচ দিন করা উচিত। তা হলে স্কুলের ক্লাসের ক্ষতি হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার চাইল্ড কেয়ার লিভ ন্যূনতম পাঁচ দিন করেছে।”
‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “এমনিতেই স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংখ্যা কম। তার মধ্যে চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়ে প্রয়োজন না হলেও ১৫ দিন কোনও শিক্ষক বাড়িতে বসে থাকলে আখেরে স্কুলের পঠন-পাঠনের ক্ষতি হবে। এই ছুটি কমানো উচিত।”
এ নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকের জিজ্ঞাসা, শুধু শিক্ষিকারাই কেন ছুটি পাবেন? শিক্ষকরা কেন পাবেন না? এক পর্ষদ কর্তার মতে, অনেক সময় দেখা যায় কোনও পড়ুয়ার বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষকতা করেন। দু’জনেই যাতে এই ছুটির সুবিধা না-পান তার জন্য এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই দেওয়া হচ্ছে।