রাজ্যের কলেজে কলেজে চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম বা সিবিসিএস পদ্ধতির বাস্তবায়ন যথাযথ ভাবে হচ্ছে না বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানাল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা। অবিলম্বে সব পক্ষকে নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনায় বসার দাবিও শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছে তারা।
ওয়েবকুটা-র এক দল প্রতিনিধি মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশ কিছু দাবিদাওয়ার পাশাপাশি সিবিসিএস নিয়ে উদ্বেগের কথা মন্ত্রীকে জানান তাঁরা। ওয়েবকুটা-র সহ-সভাপতি প্রবোধ মিশ্র বুধবার জানান, যথাযথ প্রস্তুতি ও পরিকাঠামো ছাড়াই যে-ভাবে সিবিসিএস চালু হয়ে গিয়েছে, তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রীকে সবই জানিয়েছি আমরা।’’
সিবিসিএস পদ্ধতি সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলে বারে বারেই অভিযোগ উঠছে। প্রতি সিমেস্টারে ৯০ দিন প্রয়োজন। কিন্তু ছুটি বাদ দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে ৭০-৭৫ দিন। এর মধ্যে কম শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে পাঠ্যক্রম শেষ করাই অসুবিধাজনক হয়ে পড়ছে। শিক্ষকদের ছুটি নেওয়ার বিষয়টি পুরো পদ্ধতিকে আরও জটিল করেছে। এর পাশপাশি পডুয়াদের ৬০ শতাংশ হাজিরার বিষয়টিও অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। প্রবোধবাবু বলেন, ‘‘এই পদ্ধতি চালু করার আগে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোনও আলোচনাই করা হয়নি।’’ শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে অরাজনৈতিক সংগঠন ‘উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-ও। অভিযোগ, তাদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের জেরে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অনেক দূরে দূরে বদলি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েক জন শিক্ষিকাও।