প্রতীকী ছবি।
হোম সেন্টারে উচ্চ মাধ্যমিক। স্কুলে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড নিতে এসে পরীক্ষার্থীদের একাংশ চেনা পরিবেশে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে বলে খুশি। তারা জানাচ্ছে, গত দু’বছরে করোনার জন্য তাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের চেনা পরিবেশে তারা অনেকটাই স্বস্তিতে পরীক্ষা দিতে পারবে।
তবে হোম সেন্টারে পরীক্ষায় কোনও অতিরিক্ত সুবিধা পরীক্ষার্থীরা যাতে না পায়, সেই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ স্কুলগুলোকে সচেতন করেছে। সংসদ নিযুক্ত এক জন প্রতিনিধি প্রতিটি স্কুলে রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যে বিষয়ের যে দিন পরীক্ষা, সে দিন সেই বিষয়ের শিক্ষক পরীক্ষার হলে নজরদারিও করতে পারবে না।
তবু তারই মধ্যে সমস্ত সেন্টারে পরীক্ষার নজরদারির সমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের একটি স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকের প্রশ্ন, তাঁরা কড়া নজরদারি চালালেও অন্য স্কুল চালাবে তো? অভিযোগ, কোনও কোনও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির তরফ থেকেও নাকি চাপ আসছে। বলা হচ্ছে, পরীক্ষার ফল নিয়ে স্কুলের যেন বদনাম না হয়, সেটা দেখতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষকের কথায়, “স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট বলে গিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে
গার্ড দেবেন।”
গত বছর করোনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না হওয়ায় অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে কিছু স্কুলের পড়ুয়ারা প্রচুর নম্বর পেয়েছিল। ওই পরীক্ষার্থীদের নম্বর নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় পর্ষদের। ফের তাদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষা করা হয় এবং তাদের নম্বর কমে যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, “এ বার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু হোম সেন্টারে পরীক্ষা হচ্ছে। পর্ষদের নিয়ম সব স্কুল সমানভাবে মানছে কিনা, তার নজরদারি কি সব স্কুলে করা সম্ভব?” পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, “পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির একটা পরোক্ষ চাপ অনেক সময় কিছু প্রধান শিক্ষকদের উপর এসে পড়তেই পারে।”