প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ (২৭ এপ্রিল) হতে এখনও বাকি তেরো দিন। এ দিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশ দিয়েছে, ৭ মে-র মধ্যে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ‘ফার্স্ট সামেটিভ’ বা সামগ্রিক মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে সেই কাজের জন্য হাতে থাকছে ১০ দিন। এই ১০ দিনের মধ্যে প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, ওই ১০ দিনের মধ্যে তিন দিন ছুটি। ১ মে রবিবার। এ ছাড়া ৩ এবং ৪ মে ইদের ছুটি। এর পরে হাতে থাকবে সাত দিন। সেই সাত দিনে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন শেষ করে ফেলতে হবে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন এমনিতে চার দিনেই শেষ হয়ে যায়। সে-ক্ষেত্রে হাতে সাত দিন সময় থাকায় হয়তো অসুবিধা হত না। কিন্তু ওই ১০ দিনের মধ্যে একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাও চলবে। সেই পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রয়োজন। প্রশ্ন উঠছে, ওই শিক্ষকেরা প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকলে প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা পাওয়া যাবে তো?
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, শুধু একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্যই যে শিক্ষক-সংখ্যায় টান পড়ার সম্ভাবনা থাকছে, তা নয়। ওই সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দেওয়ার তারিখও পড়েছে। যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা জমা দিতে যাবেন, তাঁরা কী ভাবে স্কুলে প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়নে যোগ দেবেন, সেই প্রশ্নটিও বড় হয়ে উঠছে।
‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘অনেক শিক্ষককে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, কাউকে আবার অন্য জেলায় গিয়েও প্রধান পরীক্ষকের কাছে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা জমা দিতে হয়। সেই শিক্ষকের পক্ষে সে-দিন স্কুল করা সম্ভব হয় না। শিক্ষকদের প্রশ্ন, ওই ১০ দিনের মধ্যে প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়নের পরীক্ষা নেওয়া, খাতা জমা দেওয়া— সব সম্ভব হবে কী ভাবে?’’
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশর মতে, এমনিতেই অনেক স্কুলে শিক্ষক কম। তাই এই সব কাজ কী ভাবে হবে, তা নিয়ে বহু শিক্ষকই রীতিমতো চিন্তিত। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও উত্তর দেননি।