উইমেন্সে আটক শিক্ষক নেতারা

দীর্ঘদিন ধরেই ওই কলেজে অধ্যক্ষের সঙ্গে শিক্ষকদের সংঘাত চলছে। মোট ২৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ২২ জনই এককাট্টা। বুলু মোদক নামে এক শিক্ষক (যাঁর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বাকিদের) ছাড়া আর কেউ অধ্যক্ষের সঙ্গে নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

আঁচ তো জুড়োচ্ছেই না, উল্টে অশান্তি মাঝে-মধ্যেই উসকে উঠছে কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে। দীর্ঘদিন ধরেই স্টাফরুমের বদলে বারান্দায় বসছেন শিক্ষকেরা। শুক্রবার ফের সংঘাতে জড়ালেন কলেজের অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান চালিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে এলে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা-র তিন প্রতিনিধিকে কলেজেই আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তালা খোলা হয়।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই ওই কলেজে অধ্যক্ষের সঙ্গে শিক্ষকদের সংঘাত চলছে। মোট ২৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ২২ জনই এককাট্টা। বুলু মোদক নামে এক শিক্ষক (যাঁর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বাকিদের) ছাড়া আর কেউ অধ্যক্ষের সঙ্গে নেই। গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে অধ্যক্ষের বিরোধী শিক্ষকদের সঙ্গে মনান্তর হয় টিএমসিপি নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদের কিছু নেত্রীরও। সারা বছর তাঁদের অপমান করা হয় বলরে অনুযোগ করে ছাত্রনেত্রীদের দেওয়া উপহার শিক্ষকেরা প্রত্যাখ্যান করেন।

পরের দিন পোস্টার টাঙিয়ে কলেজ ভবনের গেট আটকানো হয়। বাইরে চত্বরে বসেই ক্লাস নেন শিক্ষকেরা। সে দিন অধ্যক্ষ আসেননি। কোনও ব্যবস্থাও নেননি। এর পরে কলেজ ভবনে ঢুকলেও ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা স্টাফরুমে আর ফেরেননি। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা বারান্দাতেই বসছেন।

Advertisement

এ দিন শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান ওয়েবকুটার তিন প্রতিনিধি। দুপুর ৩টে নাগাদ তাঁরা কলেজে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়ে বাইরের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিন প্রতিনিধির অন্যতম ছিলেন ওয়েবকুটার জেলা সভাপতি মানিক মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, “আমরা গিয়েছিলাম শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে। টিচার্স রুমে বসে আমরা যখন কথা বলছি, সেই সময়ে অধ্যক্ষ এসে চিৎকার করে নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকেন।’’

শুধু তা-ই নয়। মানিক মৈত্রের অভিযোগ, ‘‘ওই কলেজের অধ্যক্ষ গেটে তালা দিয়ে আমাদের আটকে দেন। বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন। আমার শিক্ষকতা জীবনে কোনও শিক্ষকের কাছ থেকে এমন ভাবে অপমানিত হইনি। ভাবতেই লজ্জা করছে।”

মানবী অবশ্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তার পরেও তিনি বলেন, “আমার কলেজটা কি মুদির দোকান যে কেউ যখন খুশি ঢুকে পড়বে? গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে? আমি কোনও দিন এগুলো মেনে নেব না।” শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। তার পরেই গেটের তালা খোলা হয়। শিক্ষক প্রতিনিধিরা অব্যাহতি পান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement