রত্ন: রায়গঞ্জে নীলমাধব নন্দী। নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে এ বারে শিক্ষারত্ন পুরস্কারটি পাচ্ছেন রায়গঞ্জের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের প্রধানশিক্ষক নীলমাধব নন্দী।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত এ বছরের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁকে পুরস্কারটি দেওয়া হবে। শুক্রবার শিক্ষা দফতরের তরফে তাঁকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেটিতেই তাঁকে জানানো হয় যে, ৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হাতে পুরস্কারটি তুলে দেবেন। আর তাই সে দিন সকাল ৮টা নাগাদ তাঁকে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যেতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা পদার্থবিদ্যার শিক্ষক নীলমাধব গত দেড়দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। জুলাইয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি দেখে অন্যান্য অনেকের সঙ্গেই আবেদন করেন নীলমাধবও।
নীলমাধবের কথায়, ‘‘প্রায় ৩৮ বছর ধরে শিক্ষকতার পেশায় রয়েছি। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসর নেব। তাই কর্মজীবনের শেষ পর্যায়ে এই সম্মান পাওয়ায় আমি গর্বিত।’’
নীলমাধব কংগ্রেস প্রভাবিত মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্য। ওই সংগঠনের জেলা সম্পাদক তীলকতীর্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘দফতরের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’’
তবে সিপিএম প্রভাবিত এবিটিএর জেলা সভাপতি বিপুল মৈত্র শিক্ষারত্ন দেওয়ার পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া যথাযথ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি আদিত্যনারায়ণ দাসের কথায়, ‘‘উনি এই পুরস্কারের যোগ্য। এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের নিরপেক্ষতাই প্রমাণিত হয়েছে।’’
জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘নীলমাধবের দীর্ঘ শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতা, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত পারদর্শিতা, স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা, গত তিন বছরে স্কুলের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল— সব দিক বিচার করেই তাঁকে পুরস্কারটির জন্য মনোনীত করা হয়েছে।’’