ব্যাঙ্কের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হল আয়কর হানা। কলকাতা এবং তার লাগোয়া সাতটি অঞ্চলে হানা দিয়ে হিসাব বহির্ভূত বেশ কয়েক কোটি টাকা আটক করেছে আয়কর দফতর। এ দিকে চেন্নাইতেও পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়ে ৭৩ কোটি টাকার নগদ এবং প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম সোনা আটক করেছেন আয়কর অফিসাররা।
কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার সাতটি এলাকায় আয়কর অফিসাররা হানা দেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র বড়বাজার। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন আয়কর দফতরের গোয়েন্দা ও ফৌজদারি অনুসন্ধান বিভাগের অতিরিক্ত নির্দেশক প্রিয়ব্রত প্রামাণিক।
বড় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়েছে, তা জানানোর জন্য সমস্ত ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছিল আয়কর দফতর। যে-সব অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকা নিয়ে সন্দেহ জাগে, সেগুলির মালিকদের বাড়ি এবং দফতরেই হানা দেন আয়কর অফিসারেরা।
আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ধরা পড়ার পরে অনেকেই চটজলদি সম্প্রতি চালু হওয়া কর আইন (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল, ২০১৬ অনুযায়ী ওই পরিমাণ টাকাকে অঘোষিত আয় হিসাবে আয়কর দফতরের কাছে জানিয়ে দেন।
উল্লেখ্য নতুন ওই আইন অনুযায়ী কেউ অঘোষিত ঘোষণা করলে তার উপর আয়কর, সারচার্জ এবং জরিমানা বাবদ মোট ৫০ শতাংশ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি টাকার ২৫ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনায় ৪ বছরের জন্য বিনা সুদে জমা রাখতে হবে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, কলকাতায় ধরা পড়া এই ধরনের হিসাব বহির্ভূত আয়ের মালিকরা ওই সব শর্তেই কালো টাকা সাদা করতে রাজি হয়ে যান।
আয়কর দফতর সূত্রের খবর, এই অভিযানে বেশ কিছু বড় সোনার দোকান এবং কাঠের ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে আয়কর দফতর হানা দেয়। কলকাতার আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের অভিযান আরও কিছু দিন চালানো হবে।