Taslima Nasrin

Taslima Nasreen: আনন্দবাজার অনলাইন আমার ভুতুড়ে ছবি ছাপে কেন, অনুযোগ তসলিমার

বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণির গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তসলিমা। ফেসবুকে নিজের বিস্তারিত মতামত প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ১৬:৩৮
Share:

তসলিমা নাসরিন।

আনন্দবাজার অনলাইনে তাঁর ‘খারাপ’ এবং ‘ভুতুড়ে’ ছবি ছাপা হয়। অনুযোগ তসলিমা নাসরিনের। এবং সে অনুযোগ তিনি ব্যক্তিগত মহলে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ফেসবুক পোস্টে লিখেই জানিয়েছেন। একাধিক বার। শেষবার লিখেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। যেখানে আনন্দবাজার অনলাইনে তাঁকে নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে তসলিমা অনুযোগ করেছেন, ‘‘ আমার ভুতুড়ে ছবিটা ছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।’’ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণির গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তসলিমা। ফেসবুকে নিজের বিস্তারিত মতামত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছিলেন, শুধুমাত্র একজন মহিলা বলেই কি বাড়িতে মদ রাখার দায়ে আচমকা গ্রেফতার করা হল পরীমণিকে?
পুলিশের কথা অনুযায়ী পরীমণির কী কী অপরাধ, তার একটি তালিকা সাজিয়েছিলেন তসলিমা। তাঁর ফেসবুক পোস্টে আটটি পয়েন্টে লেখা পরীমণির অপরাধগুলি ছিল, ‘পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে স্মৃতিমণি ওরফে পরীমণি সিনেমায় রাতারাতি চান্স পেয়ে গিয়েছে। তার বাড়িতে বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। তার বাড়িতে একখানা মিনি বার আছে। পরীমণি মদ্যপান করে, এখন সে মদে আসক্ত। নজরুল ইসলাম নামের এক প্রযোজক, যে তাকে সাহায্য করেছিল সিনেমায় নামতে, মাঝে মধ্যে পরীমণির বাড়িতে আসে, মদ্যপান করে। ডিজে পার্টি হতো পরীমণির বাড়িতে। আইস-সহ মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে (এগুলোর চেহারা অবশ্য দেখানো হয়নি)। মদ খাওয়ার বা সংগ্রহ করার লাইসেন্স আছে পরীমণির, তবে তার মেয়াদ পার হয়ে গেছে, এখনও রিনিউ করেনি সে।’ তসলিমার দাবি, এগুলো অপরাধের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু তাতেও পরীমণিকে গ্রেফতার করা হল! তসলিমা লিখেছিলেন, ‘সত্যিকার অপরাধ খুঁজছি। কাউকে কি জোর করে মাদক গিলিয়েছে, প্রতারণা করেছে মেয়েটি, কাউকে খুন করেছে? অপরাধ খুঁজছি। নাকি মেয়ে হওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ?’

Advertisement

তসলিমার সেই প্রতিবাদ-বার্তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই প্রতিবেদন নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন তসলিমা। তবে প্রতিবেদনে তাঁর যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা পছন্দ হয়নি তসলিমার। সে কথা স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘আমার ভূতুড়ে ছবিটা ছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।’ প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক বার আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত তাঁর ছবি নিয়ে প্রকাশ্যেই অনুযোগ করেছেন তসলিমা। বৃহস্পতিবার তাঁর পোস্টটি নজরে আসার পর শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তসলিমা বলেন, “প্রতিবেদনটি দেখার পর আমার বন্ধুরা অভিযোগ করেছে, আনন্দবাজার অনলাইন আমার খারাপ ছবি ব্যবহার করেছে। তাই ফেসবুকে পোস্টটা করেছি।” বস্তুত, তসলিমা জানান, তাঁর মতে ছবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ, একেকটি ভঙ্গি মানুষকে একেক রকম ভাবে দেখায়। নিজের মন্তব্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ধরে নিন, বিশ্বসুন্দরী খেতে বসেছেন। সেই ছবি যদি কেউ তোলেন, সেই মুহূর্তে বিশ্বসুন্দরীকেও ততটা ভাল লাগবে না, যতটা তাঁকে অন্য সময়ে লাগে।”

তসলিমার বন্ধুরা আনন্দবাজার অনলাইনে ব্যবহৃত তাঁর ছবিটি অপছন্দ করলেও তাঁর অনেক অনুরাগীর মতে অবশ্য, সব ছবিতেই তিনি সুন্দর। ফেসবুকে তসলিমার পোস্টের নীচে মন্তব্যে তেমনই জানিয়েছেন তাঁরা। তবে আনন্দবাজার অনলাইন তসলিমার কাছ থেকেই তাঁর পছন্দের একটি ছবি চেয়ে নিয়েছে। তসলিমার সেই ছবিটিই এই প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত হল। আশা করা যায়, এর পরে তসলিমার আর কোনও অনুযোগ থাকবে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement