তাপস রায়, নির্মল মাজি, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন দাশগুপ্ত।
বিদায়ী মন্ত্রিসভার একঝাঁক সদস্যকে বাদ দিলেন মমতা। জিতেও মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য তাপস রায়, নির্মল মাজি, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন দাশগুপ্ত, মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, জাকির হোসেম ও আসীমা পাত্রর। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তাপস ও নির্মলকে মন্ত্রী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী করার পাশাপাশি দলের মুখপাত্র করা হয়েছে বরানগরের বিধায়ক তাপসকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নির্বাচিত মন্টু ও গিয়াসুদ্দিনকেও প্রথম সরকার গঠনের পর দ্বিতীয়বার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় জায়গা দিয়েছিলেন মমতা। হুগলি জেলা থেকে নির্বাচিত তপন ও অসীমাকে ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর জায়গা দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রিসভায়। কিন্তু এ বার বাদ গেলেন তাঁরাও।
বাদ পড়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। নিমতিতা স্টেশন বোমার ঘায়ে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। আবার জঙ্গিপুরে আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য ভোট বাতিল হয়ে যায় সেখানে। আগামী ১৬ মে বিকল্প দিন হিসেবে ভোটের ঘোষণা করলেও, শেষ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণের কারণে সেখানে কবে ভোট হবে তা নিয়েও সন্দিহান রাজনীতির কারবারিরা। মনে করা হচ্ছে, এই সব বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখেই তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি।
বিগত মন্ত্রিসভার সদস্য পূর্ণেন্দু বসু এ বারের ভোটে প্রার্থী হননি। টিকিট দেওয় হয়নি আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লাকেও। টিকিট পাননি চাকদহের বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী রত্না কর ঘোষও। ভোটে না দাঁড়ালেও ফের মন্ত্রী হচ্ছেন অমিত মিত্র। কিন্তু এ বার একঝাঁক মন্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিতও হয়েছেন। পরাজিত হওয়ায় মন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, শান্তিরাম মাহাত, শ্যামল সাঁতরা, রবীন্দ্রনাথ ঘোষদের।