তপন দেবসিংহ
প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে দলের অন্য সব নামকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন তপন দেবসিংহ একটাই কারণে। জেলা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছিল, এই মানুষটির ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। কাটমানি তো দূর, এর নামে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর সেই যোগ্যতাতেই শেষ অবধি কালিয়াগঞ্জে তপন উদয় হল কিনা, সেটাই এখন তৃণমূল শিবিরে আলোচনার বিষয়।
কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও পঞ্চায়েতের খটোসার বাসিন্দা তপন কালিয়াগঞ্জেরই তরঙ্গপুরের বাসিন্দা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত। বছর আটান্নর তপন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহকারী সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। পেশায় কৃষক তপন ১৯৯৯ সালে অসীমবাবুর হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তপন ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতির দায়িত্বে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের একাংশের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। দলের জেলা নেতৃত্ব রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একাধিক নেতার নাম পাঠান। কালিয়াগঞ্জ শহরের এক ব্যবসায়ীর নামও পাঠানো হয়েছিল। তালিকা খতিয়ে দেখে তপনকেই প্রার্থী করেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কথায়, ‘‘তপনবাবুর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দলকে অ্যাডভান্টেজ দিয়েছে।’’ তপনের কথায়, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে প্রায় ৫৭ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিল। তাই এই নির্বাচনে জয় পাওয়া যে সহজ নয়, জানতাম।’’ অসীম ঘোষের বক্তব্য, ‘‘এবার দলনেত্রী তপনবাবুকে মন্ত্রী করলেও অবাক হব না। কারণ, তিনিই কালিয়াগঞ্জের প্রথম তৃণমূল বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।’’