ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই বিতর্কিত জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক দাবি করলেন, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মধ্যে রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের ভাবনা।
বিতর্কিত এই জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্য। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গঠনের ক্ষেত্রে এই শিক্ষানীতি কতটা কার্যকর হবে, মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের এক ওয়েব অনুষ্ঠানে তা বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা এই শিক্ষানীতির মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। এই শিক্ষানীতির লক্ষ্যই হল ছাত্রছাত্রীদের চাকরি দেওয়া। স্কুল স্তর থেকেই বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই আর চাকরির পিছনে ছুটতে হবে না পড়ুয়াদের।
পোখরিয়াল জানান, বিশ্বে কথ্য ভাষার মধ্যে হিন্দি এখন তিন নম্বরে রয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, এক সময় কথ্য ভাষার তালিকায় এক নম্বরে চলে যাবে হিন্দি। ‘‘হিন্দুস্থানের পরিচিতি হিন্দি ভাষার মধ্যেই রয়েছে,’’ বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ২২টি ভারতীয় ভাষার বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, ওই সব ভাষার মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে রয়েছে হিন্দি।
অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে তিনটি ভাষা বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতিতে। সেগুলি হল আঞ্চলিক ভাষা, ইংরেজি এবং হিন্দি। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছে তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তারা।