বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
দল বদলের কারণে পুর-প্রতিনিধির পদ খারিজ করে ঝালদা পুরসভার সদ্যনির্বাচিত পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করেছিল রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা হাই কোর্ট অবশ্য শুক্রবারই নতুন পুর-প্রধান নিয়োগের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে বাতিল করে কংগ্রেসের পুর-প্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দুকে আপাতত পুরবোর্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেই দিনেই ঝালদার উদাহরণ টেনে রাজ্যের ‘দলবদলু’ বিধায়কদের নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেও যে বিধায়কেরা খাতায়-কলমে বিজেপির রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের পদ খারিজ হবে না কেন? তৃণমূল অবশ্য সাংসদ শিশির অধিকারীর উদাহরণ তাঁকে পাল্টা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিজেপির প্রতীকে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পাঁচ বিধায়ক। দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক-পদ খারিজের আর্জির শুনানি চলছে বিধানসভায়। দলবদলু ওই বিধায়কদের ছবি ও ক্লিপিং দিয়ে শুভেন্দু এ দিন টুইটে মন্তব্য করেছেন, ‘‘আদালতের তত্ত্বাবধানে ভোটাভুটি প্রক্রিয়ায় ঝালদার পুর-প্রধান নির্বাচিত হওয়ার চার দিনের মধ্যে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁর পদ খারিজ করা হল। কিন্তু যারা বাইরে তৃণমূল হিসেবে ঘুরে বেড়ায় আর বিধানসভার ভিতরে বিজেপি সেজে থাকে, সেই গিরগিটিরা দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে দলত্যাগ-বিরোধী আইনের বাইরে থাকছে! সংবিধানের দশম তফসিলকে অগ্রাহ্য করে এই রাজ্য সরকার এক জন দলত্যাগী বিধায়ককে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান করেছে। এখানে শাসক আর বিরোধী দলের জন্য আইন আলাদা মনে হয়!’’ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘দলত্যাগ নিয়ে শুভেন্দুর কিছু বলার থাকলে তা তাঁর নিজের বাড়ি থেকে শুরু করা উচিত! কারণ, ওঁর বাবা শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধেই দলত্যাগের অভিযোগ সংসদে। আর ভোটের আগে বিজেপি কেন যোগদান মেলা করেছিল, দলের নেতাদের সেই প্রশ্ন করা উচিত।’’