বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতার সুবিধা আরও বেশি মানুষ পেতে চলেছেন। কিন্তু ওই ভাতার জন্য ‘যোগ্য’ প্রাপক বাছতে গিয়ে রাজ্যে ফের ‘কাটমানি’র খেলা হবে বলে আগাম অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার অবশ্য বিরোধী দলনেতার বক্তব্য নস্যাৎ করে জানিয়েছেন, জেলাশাসকেরা ‘স্বচ্ছতা’র সঙ্গেই কাজ করবেন।
শুভেন্দু শুক্রবার সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমোদনের ভিত্তিতে রাজ্যে আরও এক লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৫৩ জনকে বার্ধক্য ভাতা এবং ৬৮ হাজার ৬৩০ জনকে বিধবা ভাতার সুবিধা দেওয়া যাবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে জেলাশাসকদের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘ওয়েটিং লিস্ট’ থেকে সমীক্ষা করে ওই ভাতার জন্য যোগ্য প্রার্থী চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতকে। রাজ্যে ‘আমফানে’র পরে ত্রাণ বিতরণ বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার তালিকা বাছতে গিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তার উল্লেখ করে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুভেন্দুর মন্তব্য, এর জেরে ‘কাটমানির নবজোয়ার’ আসবে! এমন দাবি উড়িয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “স্বচ্ছতার সঙ্গেই কাজ হয়। ওঁরা সব কিছু বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। ওঁর মন্তব্যের কোনও যৌক্তিকতাই নেই। জেলাশাসকেরা সব পদ্ধতির মধ্যে থেকেই এবং তা মেনে কাজ করেন। তা হলে কি সরকার কোনও কাজ করবে না?’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আবাস যোজনায় কোনও খুঁত খঁজে পায়নি কেন্দ্র। ওঁর কথার উত্তর দেওয়ার মানে হয় না!”